ব্যুরো নিউজ, ২২ ফেব্রুয়ারি: রাজ্যে ১৬ ই মার্চ থেকে শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর এবার এই পরীক্ষাকে ঘিরেই চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন স্ক্যাম। সম্প্রতি পুলিশের দারস্থ হয়েছেন কিছু অভিভাবক। তাঁদের অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়া মারফত তাঁদের ফোনে একটি বার্তা আসে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগেই পরীক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে প্রশ্নপত্র। তার জন্য স্ক্যান করতে হবে কিউ আর কোড। জমা করতে হবে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা।
অভিভাবকেরা সেই বার্তা পাওয়া মাত্রই সমস্ত তথ্য-প্রমান নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন। আর এবার সেই ঘটনার তদন্তেই নেমেছে পুলিশ। এরপর পুলিশ তদন্তে নেমে গ্রেফতার করে নদিয়ার গরিবপুর মাঝের গ্রামের বাসিন্দা রূপম সাঁধুখাকে। পুলিশ জানতে পারে, সে তার বান্ধবী নদিয়া জেলার হাবিবপুরের বাসিন্দা প্রীতি শর্মার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মারফর এই প্রতারণা চক্রের ফাঁদ পেতেছিল।
অবশেষে সন্দেশখালিতে লাগানো হলো সিসিটিভি
এরপর প্রীতির সাথে পুলিশ যোগাযোগ করে। তাঁরা জানতে পারে, সম্প্রতি জোড় করে রুপম তাঁর কাছ থেকে তাঁর এটিএম কার্ডটি নিয়ে যায়। এরপর প্রীতির ফোনে লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক বার্তা আসতে থাকে। সেই ম্যাসেজ দেখে প্রীতির বুঝতে অসুবিধা হয়না যে তাঁর বন্ধু কারো সাথে প্রতারণা করছে। আর এই লেনদেন সেই প্রতারণার ফল।
তবে এই জাল থেকে কীকরে বের হবেন তা বুঝতে পারছিলেন না প্রীতি। শেষে পুলিশের হাতে তিনি রুপমের সমস্ত তথ্য তুলে দেন। গ্রেফতার করা হয় রুপমকে। এরপর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ঘটে গিয়েছে একের পর এক ঘটনা। রাজ্যের বিভিন্ন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একের পর এক মোবাইল ফোন। বাতিল করা হয়েছে অভিযুক্তদের পরীক্ষা। ইভিএম নিউজ