লাবনী চৌধুরী, ১৬ ফেব্রুয়ারি: উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম দিনে ঘটলো বিভ্রাট। এক স্কুলে সিট পড়েছে পরীক্ষার্থীদের। অথচ স্কুল জানিয়েছে অন্য স্কুলের কথা। আর এই নিয়েই পরীক্ষার সকালে চিন্তার ভাঁজ পরীক্ষার্থী থেকে অভিভাবকদের।
সন্দেশখালি নিয়ে রিপোর্ট পৌছালো রাষ্ট্রপতির কাছে
উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষার প্রথম দিন। আর সেই মতো স্কুল থেকে জানানো পরীক্ষার হলে পরীক্ষা দিতে হাজির পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারে যে, এই স্কুলে নাকি পরীক্ষার সিটই পড়েনি। এরপরেই মাথায় হাত। পরীক্ষার্থীদের মনে একটাই প্রশ্ন এবার কি হবে? সময়ে সঠিক সেন্টারে পৌঁছতে পারবো তো? বসতে পারবো তোঁ পরীক্ষায়?
এদিকে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। তাদের অভিযোগ, স্কুল থেকে বলাহয়ে ছিল এই স্কুলে পরীক্ষা হবে। কিন্তু এখন অন্য কথা। পরীক্ষার দিন পরীক্ষা দিতে এসে এই ভাবে ছাত্রছাত্রীদের হয়রানীর মুখে পড়তে হওয়ায় স্কুলের ওপর বিরক্ত প্রকাশ করেন তারা। জানান, এখানে গলতি স্কুলেরই। তারাই জানিয়েছিল যে এই সেন্টারে নাকি পরীক্ষা হবে।
লেকটাউন আদ্যনাথ শিক্ষা নিকেতনের উচ্চমাধ্যমিকের সিট প্রতি বছরই বাঙুর বয়েজ হাইস্কুলে পড়ে। এবারও স্কুল থেকে জানানো হয় যে, বাঙুর বয়েজেই সিট পড়েছে। সেই মতো পরীক্ষার দিন সকালে পরীক্ষার্থীদের নিয়ে বাঙুর বয়েজে পৌঁছে যান তারা। ৯টা ১০ বেজে গেলেও সিট নম্বরের তালিকা ঝোলানো হয়নি। এরপরই অভিভাবকরা বাঙুর বয়েজের পরীক্ষা পরিদর্শকের সঙ্গে কথা বললে জানতে পারেন যে, এই বছর নাকি লেকটাউন আদ্যনাথ শিক্ষা নিকেতনের উচ্চমাধ্যমিকের সিট বাঙুর বয়েজে পড়েইনি, সিট পড়েছে পল্লীশ্রী হাইস্কুলে।
তবে লেকটাউন আদ্যনাথ শিক্ষা নিকেতনের প্রধান শিক্ষিকা তাঁর ভুলের কথা স্বীকারও করেন। তবে এই ভুল কোনওভাবেই মেনে নিতে নারাজ অভিভাবকরা। তাদের অভিযোগ নেহাত এখান থেকে পল্লীশ্রী হাইস্কুলের দূরত্ব কম। তাই কোনও গুরুত্বর সমস্যা হয়নি। লেকটাউন থানায় পুলিশ গাড়ির ব্যবস্থা করে দেয়। কিন্তু যদি পরীক্ষার সেন্টার অনেক দূরে পড়তো তখন? যদি টেনশনে কোনও পরীক্ষার্থী গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়তো, তখন তার দায় কে নিতো?