আবর্জনা

ব্যুরো নিউজ, ২৯ ডিসেম্বর:  আবর্জনায় ফললো সোনা! কতো কোটি আয়? জানলে চমকে যাবেন

“যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন” এই কথাই যেন সত্যি হল আজ। আবর্জনা থেকে যা আয়, তা থেকে তৈরি করা যেতে পারে আরও দু’দুটো চন্দ্রযান।

স্টেশনে বা চলন্ত ট্রেন থেকে আবর্জনা ফেললে হবে জেল | জারি নির্দেশিকা

চন্দ্রযান-৩ তৈরিতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। এবার শুধুমাত্র কাগজের ফাইল, খারাপ হয়ে যাওয়া অফিস সরঞ্জাম এবং বাতিল যানবাহনের মতো আবর্জনা থেকেই উপার্জন কোটি কোটি টাকা, যেই টাকা দিয়ে দু-দুটো চন্দ্রযান করতে পারে মোদী সরকার।

সরকারি তথ্য বলছে, ২০২১ সালের অক্টোবর মাস থেকে এই ধরনের আবর্জনা বা ‘স্ক্র্যাপ’ বিক্রি করে প্রায় ১ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা আয় হয়েছে সরকারের।

সরকার এখন ই-ফাইলের উপর বেশি জোর দিচ্ছে। অর্থাৎ, সব কিছুর বিষয়বস্তু তোলা থাকছে কম্পিউটারে। এর ফলে, কাগজের ফাইলের প্রয়োজন ফুরিয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসগুলি থেকে এই ধরনের ৯৬ লক্ষ কাগজের ফাইল বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে অফিসগুলিতে প্রায় ৩৫৫ লক্ষ বর্গফুট জায়গা খালি হয়েছে। পাশাপাশি এই ফাইলগুলি বিক্রি করে কোষাগারে এসেছে অর্থও। আবার ফাঁকা হওয়া এই জায়গাগুলি অন্যান্য কাজে লাগানো গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, প্রায় ২৪ লক্ষ কাগজের ফাইল বাতিল হয়েছে চলতি বছরেই। এই বিষয়ে সবার আগে রয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। তারা, চলতি বছরে প্রায় ৩.৯ লক্ষ ফাইল বাতিল করেছে। চলতি বছরের অক্টোবরেই এসেছে ৫৫৭ কোটি টাকা! আর এর পিছনে রয়েছে মোদী সরকারের মাসব্যাপী স্বচ্ছতা অভিযান।

অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিফর্মস অ্যান্ড পাবলিক গ্রিভেন্স বিভাগের সচিব, ভি শ্রীনিবাস জানিয়েছেন, ওই এক মাসে ভারতে এবং বিদেশের ২ লক্ষ ৫৮ হাজার ৬৭৩টি অফিসে স্বচ্ছতা অভিযান চলেছে। এর ফলে ১৬৪ লক্ষ বর্গফুট অফিস স্পেস খালি হয়েছে। সেই ফাঁকা হওয়া জায়গা ব্যবহার করা যাচ্ছে অন্যান্য কাজেও।

আবর্জনা বিক্রির ৫৫৭ কোটি টাকার মধ্যে সিংহভাগ এসেছে রেল মন্ত্রক থেকে। তাদের আয় হয়েছে প্রায় ২২৫ কোটি টাকা। এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, আয় ১৬৮ কোটি টাকা। তৃতীয় স্থানে, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক। আয় ৫৬ কোটি টাকা। আর চতুর্থ স্থানে রয়েছে কয়লা মন্ত্রক, আয় ৩৪ কোটি টাকা।

তবে, অফিসের জায়গা খালি করার দিক থেকে সবার আগে আছে কয়লা মন্ত্রক, খালি করেছে ৬৬ লক্ষ বর্গফুট জায়গা। এরপর রয়েছে ভারী শিল্প মন্ত্রক, ২১ লক্ষ বর্গফুট জায়গা ফাঁকা করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক খালি করেছে ১৯ লক্ষ বর্গফুট অফিস স্পেস। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর