ব্যুরো নিউজ, ১৮ ডিসেম্বর: কাটমানি দিয়ে বিয়ের চেষ্টা তৃণমূল যুবনেতার! কী ভূমিকা দলের? তৃণমূলের যুবনেতা প্রতীক দে নন, এবার সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলি মৈত্র ও সোনারপুর পুরসভার পুরপ্রধান পল্লব দাসের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন ওই পুরসভারই ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার। হাসপাতালে দাউদ ইব্রাহিম | বিষ খাইয়ে খুনের চেষ্টা? কাটমানি দিয়ে তৃণমূল যুবনেতা প্রতীক দে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন! দাবি সোনারপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পাপিয়া হালদারের।
রবিবার বিকেলে পাপিয়া দাবি করেন যে, ডিসেম্বরের শুরুতেই বিধায়ক লাভলি মৈত্রকে তিনি এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। হোয়াটসঅ্যাপে তার রিপ্লাই দিয়ে লাভলি তাঁকে বলেছেন, “তুমি কী করছ, তা আমি জানি। প্রতীক কী করেছে, তা-ও আমি জানি। এ সব নিয়ে পরে কথা বলব।” পাপিয়া হালদার জানান, তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “বাড়ির বাইরেই বের হতে পারছি না, থানায় গিয়ে কী ভাবে অভিযোগ করব? স্থানীয় নেতৃত্বের প্রতি তাঁর আর কোনও ভরসা নেই বলেও সাফ জানিয়েছেন পাপিয়া।
রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে প্রতীকের বিরুদ্ধে তিনি বলেন, “প্রতীক আমাকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা কাটমানি দিতে চেয়েছিলেন। বলেছিলেন আমায় কোনও কাজ করতে হবে না। শুধু বাড়িতে বসে থাকতে হবে আর প্রতি মাসে খামে করে ৫০ হাজার টাকা চলে আসবে।” নিজের অভিযোগের সপক্ষে পাপিয়া প্রতীকের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও জনসমক্ষেও নিয়ে আসেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতীক অবশ্য জানান, তাঁদের সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। এক সঙ্গে ব্যবসা করার কথা ছিল। সেই নিয়েই হোয়াটসঅ্যাপের ওই কথোপকথন বলে দাবি করেন তিনি। দল প্রয়োজনে তদন্ত করতে পারে বলেও জানান অভিযুক্ত যুবনেতা প্রতীক দে।