ব্যুরো নিউজ, ২১ নভেম্বর: কলকাতায় ব্যবসায়ী খুনে গ্রেফতার ৪
কালীপুজোর রাতে মানিকতলা থানা এলাকার অন্তর্গত বাগমারিতে গাড়ির গ্যারাজের ব্যবসায়ী অনিল রজককে মারধরের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরে প্রথমে ওই ব্যবসায়ী মারধরের ব্যপারে তার পরিবারকে কিছুই জানাননি। পরদিন, অর্থাৎ ১৪ নভেম্বর অনিলকে ফের মারধর করা হয়। সেই মারধরের ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সত্বর তাঁকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতেই হাসপাতালে ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে পুলিশ জানতে পারে, অনিলের মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিলো। আর এই আঘাতের ফলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের জেরেই তারমৃত্যু হয়। এমনকি, দেহে আঘাতের চিহ্নও পাওয়া যায়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মানিকতলা থানায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। তবে ঘটনার পরেই পালিয়ে যায় অভিযুক্তেরা।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত সুভাষ দে ওরফে সুকুমার, সঞ্জীব নাগ, অভিজিৎ দে ও শিবা সাঁতরা পালিয়ে গিয়ে তাদের মোবাইল বন্ধ করে রেখে দিয়েছিল। তার বদলে তারা তাদের এক আত্মীয়ের মোবাইল ব্যবহার করে। তবে সেটিও তারা এক দিনের মাথায় বন্ধ করে দেয়। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই ৪ জনের মোবাইলের পুরনো কল লিস্ট ঘাঁটতে গিয়ে দেখতে পায়, তারাপীঠের ২ বাসিন্দার সঙ্গে সম্প্রতি কথা হয়েছিল তাদের। পুলিশের দাবি, তারাপীঠের ওই বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে তারা জানতে পারে, তাঁদেরই ১ জন ওই ৪ পলাতককে হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সেই সূত্র ধরেই মানিকতলায় ব্যবসায়ীকে মারধর করে খুনের ঘটনায় পুলিশ তারাপীঠের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত ওই ৪ জনকে। রবিবার রাতে ওই ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর সোমবার ৪ জনকে তোলা হয় কলকাতার আদালতে। বিচারক তাদের ১২ দিনের পুলিশি হেফাজত দিয়েছেন।
খাস কলকাতায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত ১
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, কালীপুজোর প্রসাদ বিতরণকে কেন্দ্র করে সেই রাতে অভিযুক্তদের সঙ্গে অনিলের গোলমাল শুরু হয়েছিল। অভিযোগ, অভিযুক্তেরা সকলেই সে সময়ে মত্ত অবস্থায় ছিল। এক পুলিশকর্তা জানান, ওই রাতে গোলমালের জেরে অনিলের আঘাতে মুখ ফাটে অভিযুক্ত সুকুমারের। এর পরে রাতে ২ পক্ষই এলাকা ছেড়ে চলে যায়। পরের দিন সুকুমার ও অন্যেরা ফের মারধর করে অনিলকে। তাতেই গুরুতর জখম হয়ে পড়েন ওই ব্যবসায়ী। এরপর তার মৃত্যু হয়। ইভিএম নিউজ