ব্যুরো নিউজ, ১৭ নভেম্বর: বেপরোয়া বাইক চালানো রুখতে গিয়ে প্রহৃত পুলিশ

নিউ টাউনে বেপরোয়া ভাবে বাইক চালানোর ঘটনা নতুন নয়। বৃহস্পতিবার সকালে নিউ টাউনের রাস্তায় মোটরবাইক নিয়ে দ্রুত গতিতে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জেরে দুর্ঘটনার শিকার হন এক ব্যক্তি। অভিযুক্তকে যখন এক কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশকর্মী ধরতে যায় তখন সেই পুলিশকর্মীকে ওই বাইকচালক মারধর করেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্তের নাম সৌভিক রায়। তার বাড়ি বাগুইআটিতে। পরে স্থানীয় লোকজন অভিযুক্ত ওই বাইকচালককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ইকো পার্ক থানার পুলিশ সৌভিককে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, ও পুলিশকে মারধর করা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

ভাইয়ের কাটা পা হাতে নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে দাদা
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকালে নিউ টাউনের বন্দের মোড়ের সিগন্যালে একটি বাইক এসে দাঁড়ায়। পিছন থেকে বেপরোয়া গতিতে বাইক নিয়ে আসছিলেন দুই যুবক। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁরা সামনে দাঁড়ানো বাইকে সজোরে ধাক্কা মারেন। যার জেরে দু’টি বাইক থেকে তিন জনই ছিটকে পড়েন। সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা বাইকচালক গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ট্র্যাফিকের এক কনস্টেবল। তিনি অন্য বাইকের সওয়ার দুজন যাত্রীকে সেখান থেকে যেতে নিষেধ করেন। অভিযোগ, তবু ওই দুজন পালানোর চেষ্টা করেন। এরপর কর্তব্যরত ওই কনস্টেবল তাঁদের ধরতে গেলে এক জন তাঁর চোখে ঘুষি মারে বলে অভিযোগ। তাঁর চিৎকারে পথচারীরা জড়ো হয়ে ওই যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, দিনে ট্র্যাফিকের পাহারা থাকলেও গভীর রাতে বা সকালে পাহারা শিথিল থাকে। তখন সিসি ক্যামেরার উপরেই বেশিরভাগ সময় নির্ভর করতে হয়। ফুটেজ দেখে তাই অভিযুক্ত চালককে জরিমানা করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেপরোয়া বাইকের দাপট শুরু হয় মধ্যরাতে ও সকালে। ইভিএম নিউজ

















