হাতে

ব্যুরো নিউজ, ১৭ নভেম্বর: ভাইয়ের কাটা পা হাতে নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে দাদা

গত সোমবার লক্ষ্মীকান্তপুরে যাওয়ার পথে ট্রেন থেকে পড়ে যান ট্যাংরার বাসিন্দা মহম্মদ রাজ। ট্রেনের চাকায় ঘষে গিয়ে তাঁর দু’টি পায়েরই নীচের অংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর সঙ্কটজনক অবস্থায় ওই যুবককে তাঁর সহযাত্রীরা এন আর এস মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসেন। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ইমারজেন্সি অপারেশন থিয়েটারে। বাদ যায় রাজের দুটি পা। অভিযোগ, অপারেশনে বাদ যাওয়া ওই দুটি পা কর্তব্যরত নার্স তার পরিবারের হাতে তুলে দেয়। এরপর ব্যান্ডেজ জড়ানো সেই কাটা পা দুটি নিয়ে ওয়ার্ডে রাজের সাথে দেখা করতে ঢুকেছিলেন তার দাদা। সেখানে উপস্থিথ কর্তব্যরত নার্সের কাছে ধমক খেয়ে তিনি ওয়ার্ডের বাইরে বেরিয়ে আসেন। হাসপাতাল চত্বরে তাঁরা ঘুরছিলেন ওই পা দুটি নিয়ে। যা দেখে চমকে ওঠেন অন্য রোগীদের পরিজনেরা। শেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে মর্গে পাঠানো হয় ওই জোড়া কাটা পা!

দাপট বাড়ছে ডেঙ্গির

বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। নিয়ম অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় বাদ যাওয়া অঙ্গের ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি হওয়ার পরে সেটি ময়না তদন্তের উদ্দশ্যে মর্গে পাঠানো হয়। সেখানে রাজের আত্মীয়দের হাতে কী ভাবে ওই জোড়া কাটা পা এল, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এন আর এসের সুপার ইন্দিরা দে বলেন, “এমনটা হওয়ার কথা নয়। তবে, অনেক সময়ে পরিজনেরা কাটা অঙ্গ নিতে চান। কিন্তু এখানে কি হয়েছে, সেই বিষয়টা এখনো আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। তবে এখন ওই অঙ্গের ক্ষেত্রে যা করণীয়, তা নিয়ম মেনেই করা হবে”।

নিয়ম বলছে, দুর্ঘটনায় কাটা অঙ্গের ময়নাতদন্ত বাধ্যতামূলক। ময়নাতদন্তের পরে যদি রোগীর পরিজনেরা সেই কাঁটা অঙ্গ নিতে চায় তবে সেটি পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু এখানে ময়নাতদন্তের আগেই কী করে রাজের পরিজনদের হাতে ওই অঙ্গ চলে গেল, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর