ব্যুরো নিউজ, ১৫ নভেম্বর: মেজঠাকুরণের বিসর্জনে বিশাল আড়ম্বর! মশালের আলোতে দেবীর বিসর্জন
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার ২ নং ব্লকের মুসথুলি গ্রামের কালী ‘মেজঠাকুরণ’ নামে পরিচিত। ‘মেজঠাকুরণ’ আবার বোলতলা নামেও পরিচিত। এই পুজো প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো।
বাবুলের ফের ফুল বদল! কী বললেন বাবুল?
লোকমুখে শোনা যায়, প্রায় ৩০০ বছর আগে এক তান্ত্রিক বকুল গাছের তলায় ছোট মূর্তি দিয়ে পুজো শুরু করেন। সেই তান্ত্রিকের মৃত্যুর পর তার আদেশ মতো ওই গাছ তলায় তাঁকে সমাধি দেওয়া হয়। ভক্তদের অনুদানে তৈরি করা হয় মন্দির।
এরপর সেই পুজো চালিয়ে যান জমিদার। তারপর পুজোর দায়িত্ব সেখানকার বাসিন্দা রানি দাসের পর বর্তায়। চার পুরুষ ধরে পুজো চালিয়ে যায় রানি দাসের উত্তরসুরীরা। বর্তমানে এই পুজো বারোয়ারি পুজোয় পরিণত হয়েছে।
পুজোর দিন দেবী মূর্তিতে রঙ করা হয়। এরপর পরানো হয় অলঙ্কার। এই পুজোয় ছাগ বলিরও রিতি আছে। তবে এই পুজোর প্রধান আকর্ষণ বিসর্জন। দেবী মূর্তিকে কাঁধে করে নিয়ে বিসর্জন দেওয়া হয়। পাটকাঠির মশালের আলোতেই বাহকরা দেবী মূর্তিকে কাঁধে করে নিয়ে পাশের গ্রামের আমডাঙ্গায় নিয়ে যাওয়া হয় বুড়ো শিবের সঙ্গে দেখা করে আসার পর মন্দিরের পাশের পুকুরে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। এই বিসর্জন দেখতে ভিড় জমান এলাকার ও আসেপাশের মানুষেরা। ইভিএম নিউজ