বিজ

ব্যুরো নিউজ, ৭ নভেম্বর: বিজয়া সম্মিলনী উৎসবের উৎযাপনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী  

সোমবার সন্ধ্যে ৮ টার সময় ভবানীপুরে বিজয়া সম্মিলনী উৎসবের উৎযাপন অনুষ্ঠানে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়েও তিনি কেন্দ্র ও বিরোধী দলকে নিশানা করে বেশকিছু মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বাংলায় বলা হয় বারো মাসে তেরো পার্বন। সব ধর্মের মিলন মেলা যদি বলেন তাহলে বাংলাকে দেখে বোঝা যায়। দেশের স্বাধীনতা কারা এনেছিলো! যদি সেলুলার জেলে যান তাহলে দেখবেন সবচেয়ে বেশি নাম আছে বাঙালিদের। তারপর আছে পাঞ্জাবী ও শিখদের নাম। সবাইকে নিয়ে বাংলা চলে। আমরা বাংলায় একটা বিজয়া সম্মিলনী করি। রাজ্যের ২৯৪ টা বিধানসভা কেন্দ্রের প্রত্যেকটায় এই বিজয়া সম্মিলনী হচ্ছে। এই দুর্গাপুজোয় আমাদের প্রশাসন খুব ভালো কাজ করেছেন। তারা নিজেদের পরিবারকে সময় না দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পরিবারকে সময় দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমার পায়ে একটা চোট আছে, সেই কারণে আমি ভার্চুয়ালি পুজোর উদ্বোধন করেছি। বারোশো পুজোর উদ্বোধন করেছি। এটা রেকর্ড। জেলার প্রতিটি প্যান্ডাল ভালো করে দেখেছি। তারা কিন্তু ববি, অরুপ দের হারিয়ে দিয়েছে। এবার আমি সারা দেশের ১৪০ টি পুজোকেও মিষ্টি মুখ করতে পাঠিয়েছি‌। আমি একটা  কথা ভেবেছি যে সামনের বছর সারা বিশ্বের যেখানে যেখানে পুজো হয় সবাইকে পাঠাবো। ইন্দ্রনীল সেনের সুদুরের বলাকা ক্যাসেটের গান শুনতে যেতাম হাজরা মোড়ে। তখনও অবশ্য আমাদের বিরোধী ছিলো।

আসন্ন কালীপুজো উপলক্ষে কলকাতা পুলিশের সমন্বয় সভা

সন্ধ্যাদির সাথে যখন‌ই আমার ফোনে কথা হতো তখনই বলতেন আমাকে দুই লাইন শোনাও। আমি বলতাম আমি গান জানি না। তখন সন্ধ্যাদি বলতেন, তুমি গান না গাইলে আমি ফোন রেখে দেবো। তখন আমি বাধ্য হয়ে, আমি অন্ধকারের যাত্রী তুমি আলোর দৃষ্টি দাও গেয়েছিলাম। আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলাম তখন লতাজী আমাকে একটা মা কালীর ছবি পাঠিয়েছিলেন‌। সেটা আমি রেখে দিয়েছি। আমি ছোটোবেলায় তিনবছর গান শিখেছিলাম। তারপর আর শিখতে পারিনি। আমার হারমোনিয়ামটা বিক্রি করে দিয়েছিলো। কার্নিভালের দিক থেকে ব্রাজিলকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে এবারের আমাদের কার্নিভাল। আন্দোলন করতে ভালোবাসি, ঝগড়া করতেও ভালোবাসি, অপ্রিয় সত্য কথা বলতেও ভালোবাসি।

কাল আমি মরে গেলে দেখবেন ওরা যারা আমার নামে গালি দেয় তারা প্রথম মালা নিয়ে ঢুকবে। একটাকেও ঢুকতে দেবেন না। আমি বলে গেলাম। আমি নিজের নামে কিচ্ছু করি নি, স্টেডিয়াম ও করি নি। ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র আমাদের দেয়নি। বাংলার আবাস যোজনার টাকাও পর্যন্ত দেয়নি। আবার এখন বলছে ‘ঘর ঘর মে জল’। আমরা ৪০ শতাংশ দিই, ওরা ৬০ শতাংশ দেয়। তাতেও বলে সব ওরা করছে। ইসরো যদি কিছু করে তাতেও বলে ওরা করেছে।

আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এক টাকাও নিই না। আমি কেন্দ্রের মন্ত্রী ছিলাম। সেখান থেকে পেনশন নিই না। আমি সাংসদ হিসাবেও পেনশনের টাকা নিই না। আমার যা রোজগার তা ওই ব‌ই বিক্রি করে আর রয়ালটি থেকে যা পাই। যদি সব কিছু নিতাম তাহলে আমার তো এখন ৪০/৫০ কোটি টাকা জমানোর কথা। রেশন কার্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক কোটি রেশন কার্ড আমরা বাদ দিয়েছি। কারণ ওই এক কোটি রেশন কার্ডে ফলস চাল তোলা হতো। ভোট দেওয়া হতো বাম আমলে। আমার তো সাত আট বছর চলে গেছে এই এক কোটি ফলস রেশন কার্ড বাতিল করতে গিয়ে। অনেকে রেশন তোলেন না। তাদের জন্যে আলাদা সাদা রংয়ের কার্ড করে দিয়েছি। যাতে কখনও না এসে বলে যে আপনারা ভারতীয় নন।

আপনারা আমার এই লড়াইয়ের সঙ্গে আছেন তো ? বাংলার সঙ্গে আছেন তো ? যত লড়াই আসে আসুক, যত সংগ্রাম আসে আসুক। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ফোঁস করাটা আমাদের অধিকার ও আমরা তা করবোই। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর