ব্যুরো নিউজ ৬ সেপ্টেম্বর: প্রশ্নের মুখে ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী। রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বিডিও অফিসে বিডিওর চেয়ারে বসেই করলেন বৈঠক। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মন্ত্রীর এই আচরণ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। অন্যদিকে, মন্ত্রী নিজে মনে করেন, ‘এটাই শিষ্টাচার’।
বিডিওর চেয়ারে বসে আছেন মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। বাঁ পাশের চেয়ারে বসে তাঁর ভাই। তাঁরও পাশে একেবারে কোণে বসে আছেন বিডিও। সেই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন মহলেশুরু হয়েছে তীব্র নিন্দাও। শুধু বিরোধী নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যেও এই ছবি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। তবে এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি ইভিএম নিউজ।
এবারে তপন পঞ্চায়েত সমিতির ৩৩টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করে ৩১টি আসনে। অপর দু’টি আসন পেয়েছে বিজেপি। সম্প্রতি এই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোনীত হয়েছেন কৃষ্ণা বর্মন। এদিন তিনি প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাজু দাসের কাছ থেকে দায়িত্বভার বুঝে নিচ্ছিলেন। এই উপলক্ষ্যেই বিডিও অফিসে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আর এই অনুষ্ঠান দেখতেই রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী তথা হরিরামপুরের বিধায়ক বিপ্লব মিত্র সটান গিয়ে বসে পড়েন বিডিওর চেয়ারে। আর এই ছবি প্রকাশ্যে আসায় শুরু হয় বিতর্ক ।
ইতিমধ্যেই, বিপ্লব মিত্রের এই আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, ‘মন্ত্রী বয়স্ক মানুষ, তাই তাঁকে বসতে হয়তো চেয়ার ছেড়ে দিয়েছেন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক। বয়স হয়েছে বলেই একটু ভুলভ্রান্তি হয়তো হয়েছে, বসাটা ঠিক হয়নি।’ তবে একাধিকবার চেষ্টা করেও বিডিও তীর্থঙ্কর ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা না যাওয়ায় তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
যদিও মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের দাবি, মন্ত্রী সরকারি কাজে গেলে এটাই শিষ্টাচার। অহেতুক বিরোধীরা রাজনীতি করছে এই নিয়ে। তবে তারা না জেনেই করছে। ইভিএম নিউজ