সংকল্প দে, ১০ জুনঃ (Latest News) মালদার পেমা ভক্তিপুর এলাকায় জলের হাহাকার
তীব্র দাবদাহে জলের জন্য হাহাকার। এলাকায় নেই কোন পিএইচই বা সাবমার্সিবল পাম্প। ৫০ টাকা দিয়ে জল কিনে খেতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। এমনটাই বিস্ফোরক অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এদিকে দুয়ারে কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট। কিন্তু ভোট চলে এলেও জল সমস্যার সমাধান হয়নি। ভোটের আগে প্রতিশ্রুতির ডালি নিয়ে হাজির হবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। কিন্তু আর কোন প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করতে নারাজ এলাকাবাসী। জলের সমস্যা সমাধান না হলে ভোট বয়কটের হুশিয়ারি।
গ্রামীণ সড়ক অবরোধ করে কলসি বালতি রেখে টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ। এই ঘটনাটি মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পেমা ভক্তিপুর এলাকায়।
স্থানিয়রা জানান, এই এলাকায় শতাধিক পরিবারের বসবাস। বেশিরভাগ মানুষই কৃষিজীবী, দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। ফলে বাড়িতে ব্যক্তিগতভাবে সাব মার্সিবল পাম্প বা নলকূপের ব্যবস্থা করতে পারেনি। এলাকায় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বসানো হয়নি কোন সাব মার্সিবল পাম্প। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে বারবার বলা হলেও কর্ণপাত করেননি তিনি।
আর ঠিক পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই, বিক্ষোভের পথ বেছে নিল এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর অভিযোগ এলাকার একটি বিদ্যালয় থেকে জল আনতে গেলে সেখানেও বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। ফলে দেখা দিয়েছে ব্যাপক জল সংকট। এই অবস্থায় সমস্যার সমাধান না হলে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সাধারণ মানুষ। রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল পরিচালিত। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যও শাসকদলের। এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ কাজ করার ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক স্বার্থ দেখে কাজ করেছে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য।
যদিও জলকষ্টের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। সমগ্র ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। এলাকা বাসীর কাছে বিজেপি নেতৃত্বের আবেদন ভোট বয়কট না করে ভোটের মাধ্যমে জবাব দিক সঠিকভাবে। অন্যদিকে কংগ্রেস এবং সিপিআইএমও কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূলকে।
এই অভিযোগে তৃণমূলের দাবি আমরা ভ্রাম্যমান ট্যাঙ্ক করে জল পৌঁছে দেওয়া ব্যাবস্থা করেছি। অন্যদিকে এই জলের সংকট নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। (EVM News)