লাবনী চৌধুরী, ১৮ ডিসেম্বর: ৭ বছরের শিশুকে খুন করে খাওয়ার ঘটনায় ৪ দোষীকে যাবজ্জীবন
৭ বছরের শিশুকে হত্যা করে তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ খাওয়ার দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ।
‘ভারত জোড়ো’র পর ‘ইউপি জোড়ো’ যাত্রা রাহুলের
উত্তর প্রদেশের কানপুরে এক জাদুবিদ্যার নির্দেশে সাত বছর বয়সী একটি মেয়েকে হত্যা করে তার লিভার ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ খাওয়ার জন্য ৪ দোষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ওই ৪ দোষীর মধ্যে এক দম্পতিও আছে। অভিযুক্ত দম্পতি, পরশুরাম এবং সুনয়না। তাদের সঙ্গে যুক্ত ছিল তাদের ভাগ্নে অঙ্কুল এবং তার সহযোগী বীরেন। তিন বছর ধরে মামলা চলের পর গত বুধবার ওই ৪ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। আদালত অঙ্কুল, বীরেনের পাশাপাশি পরশুরাম ও সুনয়নাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি জরিমানাও করেছে।
২০২০ সালের ১৪ নভেম্বর বাড়ির বাইরে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই ৭ বছরের মেয়েটি। পরদিন ঘাটমপুরে গ্রামের বাইরে একটি মাঠে তার বিকৃত দেহ মেলে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে, পরশুরাম এবং সুনয়নার বিয়ের ১৯ বছর পরেও নিঃসন্তান ছিলেন। তারা জাদুবিদ্যার জন্য গেলে, তাদের একটি মেয়ের লিভার খেতে বলা হয়। পুলিশ পরশুরাম, সুনয়না, অঙ্কুল এবং বীরেনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। অঙ্কুল ও বীরেন ওই মেয়েটিকে যৌন নিপীড়ন করে তারপর মেরে ফেলে বলে জানা যায়। তারা মেয়েটির কলিজা বের করে নেয়। তদন্ত শেষে ঘাটমপুর থানা পুলিশ ৩৭ দিনের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করে।
তিন বছর ধরে চলা মামলার পর, অতিরিক্ত জেলা জজ XII POCSO- আইনে অভিযুক্ত দম্পতি পরশুরাম-সুনয়না ও তাদের ভাগ্নে অঙ্কুল এবং তার সহযোগী বীরেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। অঙ্কুল ও বীরেনকে ৪৫ হাজার টাকা এবং পরশুরাম ও সুনয়নাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত।
গত বুধবার চার আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে শনিবার সাজা ঘোষণা করে আদালত। অতিরিক্ত জেলা সরকারের কৌঁসুলি প্রদীপ পান্ডে বলেন, "একটি নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করে তার লিভার বের করে খাওয়া একটি বর্বরোচিত অপরাধ। হত্যার পেছনে মূল কারণ ছিল জাদুবিদ্যা।" তিনি এও বলেন, "আমরা দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছিলাম কিন্তু আদালত তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। আমরা রায় অধ্যয়ন করব এবং যদি কিছু বিষয় উঠে আসে, আমরা মৃত্যুদণ্ডের জন্য উচ্চ আদালতে যাব।" ইভিএম নিউজ