শুন্যপদ

ব্যুরো নিউজ, ৭ ডিসেম্বর: ২৪ ঘণ্টায় বাড়ল শুন্যপদ ৭৮১ থেকে ৪৫,৮৮৫

ছিল বেড়াল, হয়ে গেলো রুমাল। গত মঙ্গলবার বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছিলেন, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক মিলিয়ে মোট খালি শিক্ষক পদের সংখ্যা ৭৮১। শুনে রাজ্যবাসীর চোখ কপালে উঠেছিলো। এতো কম সংখ্যক খালি পদ থাকতে পারে কীভাবে?

রাজ্যে খালি ৭৮১ শিক্ষক পদ: ব্রাত্য

এরপরেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। কারন, ব্যাপক সংখ্যক উত্তীর্ণ শিক্ষক চাকরি না পেয়ে রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছে। বুধবার সেই সমালোচনায় জেরবার ব্রাত্য বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও এস এস সি এর কাছে ৪৫,১০৪ টির মতো শুন্যপদের তালিকা তারা পাঠিয়ে দিয়েছে। এছাড়া শিক্ষা দফতরের হাতে আছে ৭৮১ টি পদ। তাই সব মিলিয়ে মোট শুন্যপদের সংখ্যা ৪৫,৮৮৫। এই ঘটনার পরেই সমালোচনায় মুখর হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। তারা বলেছেন, শুন্যপদের সংখ্যা কতো তার খোজই রাখেন না শিক্ষামন্ত্রী। তারা বলেছেন, ৭৮১ সংখ্যাটি বললে রাজ্যের মানুষের কোন ধারনাই হবেনা।

ভুল শুধরে সাফাইয়ের সুরে মন্ত্রী বলেন, সঠিক সংখ্যা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। কে কোথায় অবসর নিচ্ছেন তা আমি জানব কীকরে। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার কড়া সমালোচনা করে বলেন, যেভাবে শিক্ষামন্ত্রী শুন্যপদের সংখ্যা বারালেন তা হাস্যকর। এখনো মন্ত্রী যে শুন্যপদের সংখ্যা বলছেন, আসলে শুন্যপদের সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি। তাঁরা শিক্ষা দফতরে ডেপুটেশন দিয়ে জানতে চাইবেন সঠিক সংখ্যা কতো। সব পদে দ্রুত শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী নিয়োগ করতে হবে। ইভিএম নিউজ   

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর