ব্যুরো নিউজ, ১৫ ডিসেম্বর: স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওপর কড়া কলকাতা হাই কোর্ট
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর ওপর কড়া কলকাতা হাই কোর্ট। হাই কোর্ট জানায়, মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে কাজ করানো হয়েছে, আদালতের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ যেন আর না ওঠে। বুধবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, কেন চাকরি বাতিল করা হয়েছিল? এখন চাকরি বাতিল নিয়ে এসএসসির কী অবস্থান তা নতুন করে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। হাই কোর্ট জানায়, ১৫ তারিখ সকল সদস্যকে নিয়ে এসএসসি-কে বৈঠক করতে হবে। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে চূড়ান্ত অবস্থান নিতে হবে। আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে সেই হলফনামা জমা করবে এসএসসি।
আয়োজিত ৩০০ বছর প্রাচীন গণেশজননী পুজো
এই দুর্নীতির মামলায় এসএসসি-র ভূমিকা নিয়ে হাই কোর্টের বক্তব্য, এসএসসি-র ভূমিকা কখনই ঠিক ছিল না। তারা যখন জানতে পারে দুর্নীতি হয়েছে, তখন চুপ করে ছিল কেন? ওই সব নিয়োগের মেধাতালিকা বা ওয়েটিং লিস্টে নাম না থাকা ব্যক্তিরা চাকরি পান বলে যখন অভিযোগ ওঠে, তখন কোর্টের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা না করে সুপারিশ বাতিল করা উচিত ছিল এসএসসি-র। এমনটাই পর্যবেক্ষণ বিচারপতি বসাকের।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি-র গ্ৰুপ-সি, গ্ৰুপ-ডি, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির সব মামলার শুনানি চলছে হাই কোর্টের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে। বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ এই মামলায় কয়েক হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিল হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তা স্থগিত হয়ে গেলেও কিসের ভিত্তিতে এসএসসি চাকরির সুপারিশপত্র বাতিল করেছিল তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তা নিয়ে হলফনামা চায় আদালত।
বুধবার ওই হলফনামা কোর্টে জমা পড়েছে। বিচারপতি বসাকের পর্যবেক্ষণ, এর আগে আদালতের নির্দেশে না কি, স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে এসএসসি সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করেছিল ওই হলফনামায় তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই সেই হলফনামায়। বিচারপতি বলেন, নতুন করে বৈঠক করে আবার সিদ্ধান্ত নিতে হবে এসএসসি-কে। এবং সেই হলফনামা আগামী ১৮ তারিখের মধ্যে দাখিল কোর্টে হবে। তা না হলে আগামীতে আদালত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। বিচারপতি বসাক এসএসসিকে দ্রুত নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেন। ইভিএম নিউজ