ব্যুরো নিউজ : সেনার পোশাকে যাদবপুর ক্যাম্পাসে ঢোকায় গ্রেফতার। সেনার পোশাকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিল এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সম্পাদক সহ একাধিক সদস্য। প্রথমে অভিযুক্ত কাজি সাদেক হোসেনকে আটক করলেও অবশেষে শনিবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঘটনার পর বেপাত্তা ছিলেন কাজি সাদেক হোসেন। যাদবপুর থানার তরফ থেকে সমন পাঠানো হলেও হাজিরা দেননি তিনি। এমনকি মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল বলে জানাযায়। ঘটনায় CRPC-র ‘৪১-এ’ তে তাকে নোটিশও পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও তিনি যাদবপুর থানায় আসেননি।
এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সম্পাদক বা জেনারেল সেক্রেটারি কাজি সাদেক হোসেন বন্দর বা পোর্ট এলাকায় রয়েছেন বলে গোপন সূত্রের খবর পান পুলিশ অধিকারিকরা। সেই খবর মোতাবেক পুলিশ আধিকারিকরা হানা দেয় সেখানে। সেখান থেকে আটক করার কিছুক্ষণের মধ্যেই যাদবপুর থানায় নিয়ে আসা হয় তাকে। সেখানে তাকে বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর তদন্তে অসহযোগিতা দেখিয়ে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, সেনার পোশাকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কারা এসেছিলেন এই সংক্রান্ত বিষয়ে যাদবপুর থানার পুলিশ আধিকারিকদের তরফ থেকে স্বতঃপ্রণোদিত একটি মামলা রুজু করা হয়েছিল। এবং এই বিষয়ে গতকালই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও ডিন অফ আর্টসকে তলব করেছিল যাদবপুর থানার পুলিশ। পাশাপাশি গ্রেফতার হওয়া এশিয়ান হিউম্যান রাইট সোশ্যাইটি সংস্থার এই সম্পাদক কাজি সাদেক হোসেনকে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি। কার অনুমতিতে সেনাবাহিনীর পোশাক পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে? তা জানতে তলব করা হয়েছিল। এবং যে সংস্থার প্রতিনিধি হিসাবে জনা ২০ যুবক যুবতী বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন, সেই সংস্থার প্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদ না করতে পেরে এবার গ্রেফতার। সেনা বাহিনীর পোশাক পরে তাঁরা কীভাবে অরবিন্দ ভবনের কাছে পৌঁছাল? কার অনুমতি ছিল তাতে? সেটাই জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ইভিএম নিউজ



















