ব্যুরো নিউজ, ২৩ সেপ্টেম্বর: শহরে ডেঙ্গি ‘আতঙ্ক’
প্রতি বছরের মতো এ বছরেও শহরে বেড়ে চলেছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। তাঁর সঙ্গে বেড়ে চলেছে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর হার। ডেঙ্গি মোকাবিলার ধরন দেখে স্বাস্থ্য দফতর ও পুরসভা সম্পর্কে চিন্তিত শহরের বাসিন্দাদের একাংশ।
শুক্রবার ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘গত সপ্তাহে শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৭০০ যা এ সপ্তাহে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮০২। যে হারে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে, তা চিন্তার বিষয়’’। গত তিন দিন ধরে মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) তথা ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ তাঁর দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেছেন। বিরোধীদের প্রশ্ন, বর্ষা যখন শুরু হল, তখনই কেন পথে নামলেন না মেয়র পারিষদ ?
অবশেষে ২৯টি ক্যামেরা বসছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে
পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রের খবর, শহরের ১৬টি বরোর মধ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক দশ নম্বর বরোয়। সেখানে গত এক মাসে ৩ জন ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন। গত বছরেও এই বরো আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে শীর্ষ স্থানে ছিল। বিজেপির পুরপ্রতিনিধি সজল ঘোষের অভিযোগ, ‘‘এ বার ডেঙ্গি পরিস্থিতি বেশি উদ্বেগজনক। কলকাতা পুরসভার বাজেটে মশাবাহিত রোগ দূরীকরণে মোটা টাকা বরাদ্দ করা হয়। আমাদের প্রশ্ন, তা হলে কোটি কোটি টাকা খরচ করে কাজের কাজ কী হচ্ছে’’? কংগ্রেসের পুরপ্রতিনিধি সন্তোষ পাঠকের অভিযোগ, ‘‘পুরস্বাস্থ্য বিভাগ যদি সত্যিই ঠিক মতো কাজ করত, তা হলে ডেঙ্গি এত ভয়াবহ আকার নিত না’’।
এ দিন অতীন ঘোষ তাঁর দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে কলেজ স্ট্রিটের নির্মীয়মাণ ‘বর্ণপরিচয়’ ভবনের একাধিক অংশে জমা জল ও আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখে বাজারের ব্যবসায়ীদের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অতীন। বিরোধীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) বলেন, ‘‘বিরোধীরা কি এক দিনও ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাস্তায় নেমেছেন’’?
অতীনের দাবি, ‘‘আমরা সারা বছর ডেঙ্গি মোকাবিলায় কাজ করি। মানুষ সচেতন না হলে ডেঙ্গি মোকাবিলা অসম্ভব’’। এ দিন ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানের শেষে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘দু-এক জন মানুষের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য অনেক মানুষকে ভুগতে হচ্ছে’’। ইভিএম নিউজ