ব্যুরো নিউজ, ২০ অক্টোবর: রিলিজের দিনেই দর্শকদের মন জয় ‘দশম অবতারের’
তৃতীয়ার সন্ধ্যা বেলায় সবাই যখন পুজোর শেষ কেনাকাটায় ব্যাস্ত তখন ঠিক সেই সময় এক ছাদের তলায় হাজির যীশু, সৃজিত, অনির্বাণ, প্রসেনজিৎ। যিশু সম্পর্কে বলতে গিয়ে সৃজিত বললেন, “হায়দরাবাদ থেকে একজন তেলুগু অভিনেতা এসেছেন কলকাতায়। তিনি যে এত ভাল বাংলা বলতে পারেন! আমি জাস্ট ভাবতেই পারিনা। তাঁর সঙ্গে আমার ‘দাম্পত্য’ কলহ লেগেই থাকে। তিনি আমার ‘দশম অবতার’ ছবিতে যে ভাবে বাংলায় অভিনয় করেছেন জাস্ট…”। সকলে এই কথায় এক সঙ্গে হেসে উঠলেন।

এই সকলের দুই অভিমুখ। এক অভিমুখে ইন্ডাস্ট্রির এই চার হার্টথ্রব পুরুষদের মাঝে ঝলমলিয়ে উঠছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। তাঁর শাড়ি জুড়ে আলো। কায়দার সাজ। রুপোলি জড়ির ফিনফিনে শাড়িতে শরীর বেঁধেছেন তিনি।কোনটা শরীর? কোনটা শাড়ি? বোঝা দায়। অন্য অভিমুখে রয়েছে সেইসব বাঙালি দর্শক যারা মণ্ডপ ছেড়ে সৃজিতের ‘দশম অবতার’ দেখতে এসেছেন। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পুজোর ছবি ‘দশম অবতারের’ প্রিমিয়ারের সুচনা হোল ঠিক এইভাবেই।
‘দশম অবতারের’ প্রবীর রায়চৌধুরী। “উফঃ কী দেখিয়েছে বুম্বাদা কে”, “কী সংলাপ”, “বয়স তো বোঝাই যাচ্ছে না”। এ ভাবেই চারিদিকে হালকা রব। আর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়? কোথাও কোনও অহংকার নেই। অনুরাগীদের সঙ্গে সেলফি তুলছেন। জানতে চাইছেন কেমন লেগেছে তাঁদের ছবি? প্রিমিয়ারে সারা ক্ষণ থেকেছেন টিম ‘দশম অবতারের’ সঙ্গে।
ছবির শেষে ছুটতে ছুটতে ঢুকলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। যদিও ছবির প্রথম থেকেই একটানা তাঁকে দেখা গিয়েছে । কালো ফুল স্লিভ টি শার্ট আর জিন্স পরেছিলেন তিনি। একে বারে ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন। ইতিমধ্যেই ছবিতে তাঁর আর জয়ার গাঢ় রসায়ন সঙ্গে চুমু ‘ভাইরাল’। অন্য দিকে প্রবীর আর পোদ্দার জুটির বুদ্ধিদীপ্ত সংলাপ ঘুরতে শুরু করেছে দর্শকের মুখে মুখে। সংগীত পরিচালক অনুপম রায় বিদেশে পুজোর গান নিয়ে প্রবাসীদের মন ভাল রাখার দায়িত্বে। তিনি প্রিমিয়ারে অনুপস্থিত। কিন্তু সস্ত্রীক হাজির ছিলেন ছবির গায়ক রূপম ইসলাম। ইভিএম নিউজ