ভূত
ব্যুরো নিউজ, ৬ নভেম্বর: ভূত চতুর্দশীতে কেন চোদ্দ শাক খাওয়া হয়? কেন জ্বালানো হয় চোদ্দ বাতি?
কারও কারও বিশ্বাস, আমাদের পূর্বপুরুষেরা ওই দিন পরলোক থেকে ইহলোকে নেমে আসেন। তাঁরা দেখতে আসেন, তাঁদের ছেড়ে যাওয়া পরিবার, বাড়ি-ঘরদোর-দালান।
ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে ভূত চতুর্দশীতে এই কাজগুলো অবশ্যই করবেন

দীপাবলি মানে সপ্তাহব্যাপী উৎসব। ধনতেরস থেকে শুরু হয় পাঁচ দিনের দীপাবলি উৎসব। এরপর নরক চতুর্দশী। তারপর কালীপুজো। তারপর একদিনের ব্যবধানে ভাইফোঁটা। 

ধনলক্ষ্মীর আরাধনা দিয়ে শুরু হয় উৎসব। কার্তিক মাসের ত্রয়োদশী তিথিতে হয় ধনতেরস উৎসব। ধনদেবীর আরাধনার এক বিশেষ দিন। দীর্ঘদিন ধরে উত্তর ভারতেই এর চল থাকলেও এখন বাংলাতেও বেশ জনপ্রিয় ধনতেরস। সোনা-রুপোর গয়না কিনতে সোনার দিকানে ওই দিন ভিড় জমান মানুষ।

পরের দিনটিই ‘ভূত চতুর্দশী’। গুজরাত, রাজস্থানে ‘রূপ চৌদাস’ নামে পালিত হয় এই ‘ভূত চতুর্দশী’ উৎসব। দক্ষিণ ভারতেও এই উৎসব উদযাপন হয়। কৃষ্ণপক্ষের ১৪ তম দিন অর্থাৎ অমাবস্যার আগের দিন চতুর্দশী। বাঙালিরা এইদিন বাড়িতে ১৪ টি প্রদীপ জ্বালায়। ১৪ পুরুষের জন্য আলো জ্বালায় গৃহে। বাড়ির প্রতিটি দরজায় দেওয়া হয় বাতি। সেই সঙ্গে খাওয়া হয় চোদ্দ শাক।
আমাদের আগের সাত পুরুষকে উৎসর্গ করে, আগামী সাত পুরুষের জন্য খাওয়া হয় এই চোদ্দ শাক। জয়ন্তী, শাঞ্চে, হিলঞ্চ, ওল, পুঁই, বেতো, সর্ষে, কালকাসুন্দে, নিম, পলতা, শুলকা, গুলঞ্চ, ভাঁটপাতা ও শুষণী। মূলত এই চোদ্দ রকমের শাক রান্না করা
অনেকের বিশ্বাস, আমাদের পূর্বপুরুষেরা ওই দিন পরলোক থেকে ইহলোকে নেমে আসেন। তাঁরা দেখতে আসেন, তাঁদের ছেড়ে যাওয়া পরিবার, বাড়ি-ঘরদোর-দালান। তাঁদের আলো দেখিয়ে ফিরিয়ে দিতেই ১৪ প্রদীপ জ্বালানোর প্রথা। অনেকে আবার পরলোকগত পূর্বপুরুষের মিষ্টি-জল নিবেদন একরে থাকেন।
বাঙালি পরিবারে বিশ্বাস, এদিন ১৪ রকম শাক সহযোগে ভাত খেলে ভূত-প্রেত দূরে থাকে। এই চোদ্দ শাকের মধ্যে থাকে আমরুথ পাতা, বেতো শাক, সর্ষে শাক, কাসুন্দে পাতা, পলতা পাতা, শালুক পাতা প্রভৃতি। চোদ্দ প্রদীপের আলো যেনও সারা রাত ধরে জ্বলে সে দিকেও খেয়াল রাখেন অনেকে।
দীপাবলিতেই  রামচন্দ্র ১৪ বছরের বনবাস কাটিয়ে অযোধ্যায় ফিরে এসেছিলেন। অযোধ্যায়  রামচন্দ্রকে স্বাগত জানাতে প্রদীপ জ্বালিয়ে অযোধ্যা নগরীকে সাজানো হয়েছিল। সেই থেকে এই প্রথা মানা হয়ে আসছে বলেই অনেকের বিশ্বাস। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর