তৃণমূল ও আইএসএফ সমর্থকদের সংঘর্ষে শনিবারই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। যার আঁচ এসে পৌঁছায় কলকাতার ধর্মতলায়। আর রবিবার ভাঙ্গড়ে উদ্ধার হল তাজা বোমা। তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের বাড়ির পিছনে চাষের জমিতে লুকিয়ে রাখাছিল বস্তা ভর্তি বোমা। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, রবিবার সকালে ওই চাষের জমিতে বস্তা পড়ে আছে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় কয়েকজনের। দেখা যায় ওই বস্তার মধ্যে রয়েছে বোমা। এরপরই খবর দেওয়া হয় থানায়। থানা থেকে পুলিশ এসে বোমা উদ্ধার করে। উদ্ধার হয় একটি আগ্নেয়াস্ত্রও। এই ঘটনায় তিনজন আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর বোমা কারা রেখেছিল এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।
আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিবুল ইসলাম বলেন, শনিবার রাতে আইএসএফের কর্মীরা বোমা বন্দুক নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা চালাতে আসে। কিন্তু এলাকার মানুষ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। অন্যদিকে আইএসএফ-এর অভিযোগ, তাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর উদ্দ্যেশেই বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করছিল আরাবুল ও তার দলবল। এদিকে কলকাতায় শনিবারের ঘটনায় নওসাদ সিদ্দিকি সহ মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদেরকে রবিবার ব্যাংকশাল কোর্টে তোলা হলে কয়েকশো আইএসএফ সমর্থক আদালত চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তবে পুলিশ দ্রুত বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয়। শনিবার ভাঙ্গড়ে দুই দলের সমর্থকদের সংঘর্ষ এবং কলকাতায় আইএসএফ কর্মীদের অবরোধ ও বিক্ষোভ এবং পুলিশের সঙ্গে তাদের রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ-এইসবের রেশ সহজে মিটবে না, এরকমই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।