ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ২০ মার্চঃ হালকা-মাঝারি বৃষ্টিতে জাতীয় সড়কে নির্মিত রাস্তার রূপ নিয়েছে কর্ষিত ক্ষেতে।ফলে যাতায়াতে সমস্যায় পড়ছেন পথ চলতি সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারাও। সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিনে এমনই দুর্ভোগের চিত্র দেখা গেল মালদহের চাঁচল ও হরিশ্চন্দ্রপুর ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের কনুয়া রহমতপুরে। বর্ষা শুরুর আগেই রাস্তার কাজ সম্পন্ন করার দাবীতে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য, সড়কপথে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বছর দুয়েক আগে মালদহের চাঁচল-হরিশ্চন্দ্রপুর জাতীয় সড়কের বাইপাস রাস্তার কাজ শুরু হয়। কিন্তু অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছে রাস্তার কাজ।আর তাই অসম্পূর্ণ রাস্তার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবিতে একাধিকবার পথ অবরোধ ও বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন রহমতপুর কনুয়া এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে সেই রাস্তার কাজ আজও অসম্পূর্ণ।
বর্ষা আসার আগেই রাস্তা যেন রূপ নিয়েছে চষা ক্ষেতে। রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দাদের। রাস্তা দিয়ে মোটরবাইক ও চার চাকার যানবাহন নিয়ে যেতেও চরম দুর্ভোগে পড়ছেন চালকরা। জল কাদায় আটকে যাচ্ছে বাইকের চাকা।ঠেলে ঠেলে বাইক নিয়ে যেতে রীতিমত নাজেহাল অবস্থা বাইক চালক থেকে শুরু করে যানবাহন চালকদের।
এই নিয়েই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাসিন্দারা জানান, ‘জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই রাস্তার কাজ ধীর গতিতে চলছে। এখনো বর্ষা শুরু হয়নি।বর্ষা শুরুর আগেই ভোগান্তির চিত্র।এই রাস্তা দিয়ে যানবাহন তো দুরস্ত মানুষ চলাচলও দুষ্কর। মোটরবাইকের চাকা কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে যেতে গিয়ে আটকে পড়ছে। আমরা চাই , বর্ষার আগেভাগেই কাজ শেষ করতে হবে’। যদিও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘টানা কাজ চলছে।দ্রুত কাজ সম্পন্ন হবে’।