ব্যুরো নিউজ, ১২ ডিসেম্বর: বালুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ED | ধান কিনেই ৪০০ কোটির ‘দুর্নীতি’
ধান কিনেই ৪০০ কোটি আত্মসাৎ করেছে বালু-বাকিবুররা, চার্জশিটে বালুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ED-র।
বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ধরনা | কোর্টে প্রশ্নের মুখে পুলিশ
রেশনের চাল, গম, আটা বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এই অভিযোগ ছিল আগে থেকেই। এবার সেই দুর্নীতি মামলায় ED জমা দিল চার্জশিট। ১৬২ পাতার চার্জশিটে একাধিক দুর্নীতির কথা আছে বলে ইডি সূত্রে খবর।
চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে ১০০ কোটির দুর্নীতির কথা। এখনও পর্যন্ত এই মামলায় ৩০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। নাম রয়েছে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের, পাশাপাশি নাম রয়েছে চালকলের মালিক বাকিবুর রহমানেরও।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে আকাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, বাকিবুর রহমানের কাছ থেকে প্রায় ৯ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে নিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। জেরায় তিনি সেই ঋণ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বলেও ইডি সূত্রের খবর।
১৬২ পাতার চার্জশিটে কী কী বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে?
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা দু’কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
বাকিবুরের থেকে প্রায় ৩০ কোটি টাকা গিয়েছে বালুর কাছে।
চার্জশিটে এক আইএএস অফিসারের নাম সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। এমনকি তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। বালু খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ওই অফিসার খাদ্য দফতরে কর্মরত ছিলেন। এই সকল তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে।
রেশনে ১০০ কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
জ্যোতিপ্রিয়, বাকিবুর সহ ১২ জনের নাম রয়েছে এই চার্জশিটে। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে ১০টি সংস্থার নাম। এর মধ্যে রয়েছে বাকিবুরের সংস্থাও। এমনকি বালুর নিয়ন্ত্রণে থাকা পাঁচটি সংস্থার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
শুধুমাত্র ধান কেনার ক্ষেত্রেই সরকারের প্রায় ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বাকিবুরের দুটি সংস্থার মাধ্যমে এই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ইভিএম নিউজ