বন্ধ

ব্যুরো নিউজ, ৭ নভেম্বর: বন্ধ ট্যাক্সি পরিষেবা| নাকাল যাত্রী 

পরিষেবা বন্ধ রেখে চলে বাম শ্রমিক সংগঠন এআইটিইউসি-র ট্যাক্সিচালকদের লালবাজার অভিযান। সোমবার এই অভিযানের ফলে নাকাল হয়ে রীতিমতো হয়রানিতে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রনের নামে ট্যাক্সিচালকদের নানা কারণে মামলায় জড়িয়ে হয়রান করার অভিযোগে পথে নেমেছিলেন তারা।

এবার কুন্তল ঘোষের ফ্ল্যাটে ইডির হানা

১২ ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ রাখার ডাক দেয় তারা। সেই ডাকের ফলে এ দিন শিয়ালদহ, হাওড়া, কলকাতা স্টেশন ছাড়াও মধ্য ও উত্তর কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় পরিষেবা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। সকাল ১০টার পর থেকেই গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন ছাড়াও উত্তর ও মধ্য কলকাতার বিভিন্ন বাজার এলাকায় হলুদ ট্যাক্সি পেতে গিয়ে নিত্যদিন সমস্যার মুখে পড়তে হয় যাত্রীদের। গিরিশ পার্ক, গণেশ টকিজ়, বড়বাজার, পার্ক সার্কাস, গড়িয়াহাটের একাংশ, শিয়ালদহ স্টেশন চত্বর-সহ একাধিক এলাকায় হলুদ ট্যাক্সি পেতে গিয়ে প্রায়শই নাজেহাল হতে হয়েছে বহু যাত্রীদের।

এ দিন ট্যাক্সিচালকেরা বেলা ১২টার কিছু আগে থেকে লেনিন সরণি সংলগ্ন রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে জড়ো হতে শুরু করেন। দুপুর ১টা নাগাদ ওই রাস্তা দিয়ে ট্যাক্সিচালকেরা মিছিল শুরু হয়। মিছিলের ফলে সাময়িক ভাবে নির্মলচন্দ্র স্ট্রিট ও চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের একাংশে যানজটের সৃষ্টি হয়। কয়েক হাজার ট্যাক্সিচালক লালবাজারের দিকে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের ফিয়ার্স লেনের কাছে ব্যারিকেড করে আটকে দেয়। ট্যাক্সিচালকেরা তখন রাস্তায় বসে পড়েন।

এই ঘটনায় বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট সাময়িকভাবে অবরুদ্ধ হয়। পরে সংগঠনের পক্ষ থেকে যানশাসনের নামে ‘পুলিশি নির্যাতন’ বন্ধের দাবিতে ছ’দফা দাবির একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ট্যাক্সিচালকদের যথেচ্ছ মামলায় জড়ানোর বিরোধিতা ছাড়াও উপযুক্ত পার্কিংয়ের ব্যবস্থার দাবি ও  দূষণ পরীক্ষার নামে গাড়ির ইঞ্জিনের ক্ষতি করার অভিযোগ জানানো হয়। পুলিশ সব দাবি খতিয়ে দেখছে বলে সূত্রের খবর। এ দিন এআইটিইউসি-র ট্যাক্সি সংগঠনের নেতা নওলকিশোর শ্রীবাস্তব বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে এই আচরণ চলে আসছে। যান নিয়ন্ত্রনের চেয়ে পুলিশের কাছে জরিমানা করে আয় বাড়ানোই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। অবিলম্বে এই প্রবণতা বন্ধ হওয়া দরকার”। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর