জমি

ব্যুরো নিউজ, ১৫ অক্টোবর: ফের প্রকাশ্যে জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য!

সরকারি জলাভূমি মাটি দিয়ে ভরাট করে বিক্রির অভিযোগ জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর সদরে ডাক বাংলোর কাছে তেতুলবাড়ি ব্রিজ এলাকার ঘটনা।

গঙ্গা জলেও জিএসটি?

তেতুলবাড়ি ব্রিজের নিচের জলাভূমি মাটি দিয়ে ভরাট করে রাতারাতি লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই সেই জমিতে বেশ কিছু বিল্ডিংও তৈরি হয়েছে। যেখানে মানুষ বসবাস করছে। এদিকে জলাভূমি ভরাট হওয়ার ফলে সমস্যায় নিকাশি ব্যবস্থা। ওই নয়নজুলি দিয়ে সদর এলাকার জল নিকেশ হতো বলে জানায় স্থানীয়রা।

বিরোধীদের অভিযোগ, সম্পূর্ণটাই হচ্ছে তৃণমূল নেতাদের মদতে, শাসকদলের মদত ছাড়া এই কাজ করা সম্ভব না বলে দাবি বিরোধীদের। এর আগেও হরিশ্চন্দ্রপুরের ঐতিহ্যবাহী গরগরি মাঠ এই ভাবেই বিক্রি করে দিচ্ছিল জমি মাফিয়ারা। সেই সময় স্থানীয় আদিবাসীদের আন্দোলনের জেরে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। দখল মুক্ত করা হয় ওই মাঠ।

আর এবার একদম বন ও ভূমি দফতরের সামনেই সরকারের খাস জমি দখল করে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ। প্রাক্তন বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষের দাবি, তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন একাধিকবার এই নিয়ে চিঠি করে ছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের প্রভাবশালীদের মদত থাকায় কিছু সম্ভব হয়নি। কারণ পঞ্চায়েত সমিতি সেই সময় ছিল তৃণমূলের দখলে। তিনিও তৃণমূলেরেই জন-প্রতিনিধি ছিলেন। পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।

বর্তমানে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতি রয়েছে কংগ্রেস-সিপিআইএম জোটের দখলে। এই ঘটনায় বর্তমান ভূমি কর্মাধক্ষ্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে প্রশ্ন উঠছে যে সময় জমি দখল হল সেই সময় কীভাবে প্রশাসনের নজর এড়ালো। কেনই বা বারবার এই ভাবে সরকারি জমি দখল করে অবৈধ ভাবে বিক্রি করা হবে?  তবে কি প্রশাসনের একাংশও যুক্ত রয়েছে জমির মাফিয়াদের সঙ্গে?

অন্যদিকে তৃণমূলের সাফাই, আইন আইনের পথে চলবে। কেউ দোষ করলে দল পাশে দাড়াবে না। গোটা বিষয়টি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর