দেশে

ব্যুরো নিউজ, ১৩ ডিসেম্বর: প্রৌঢ়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু 

ঘরের মেঝেতে চিৎ অবস্থায় পড়ে রয়েছে এক প্রৌঢ়ের দেহ। দেখে বোঝাই যাচ্ছিলো ওই দেহে আর প্রান অবশিষ্ট নেই। তাঁর নাকের ক্ষতস্থান থেকে বেরোচ্ছে গলগল করে রক্ত। মঙ্গলবার সকালে কসবার রাজডাঙা মেন রোডে একটি ভাড়া বাড়ির ঘরে এমনই দৃশ্য দেখে রীতিমতো আঁতকে উঠেছিলেন মৃতের এক বন্ধু। এরপর তিনি প্রথমে স্থানীয় লোকজনকে বিষয়টি জানান ও থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কসবা থানার পুলিশ। তাঁরা এসে ওই প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশ জানিয়েছে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। 

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মোহন শর্মা। তাঁর বয়স ৬৫ বছর। আদতে তিনি বিহারের বাসিন্দা। কসবার যে বাড়িতে মোহন ভাড়া থাকতেন, সেটির মালিক রীতা দাস দে পাশেই থাকেন। তিনি বলেন, "মোহনবাবু রোজ ভোরে ঘুম থেকে উঠে পুজো দিতেন। এ দিন সকালে সাতটা বেজে গেলেও তিনি ঘুম থেকে না ওঠায় ওনার ঘরের সামনে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি, ঘরের দরজা ভেজানো। এরপর আমি সেখান থেকে চলে আসি। তারপর ১১টা নাগাদ শুনি, মোহনবাবু মারা গিয়েছেন"। রীতা দাস আরও বলেন, "উনি নিয়মিত মদ্যপান করতেন। সোমবার বিকেলে ওনার সাথে আমার শেষ দেখা হয়।


টাকার পাহাড়ের পর সোনার পাহাড়ের খোঁজ! আনা হল যন্ত্র

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সোমবার গভীর রাতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ঘরে ফেরেন মোহন। তাঁর ঘরে ভীষণ ইঁদুরের উপদ্রব ছিল। পুলিশ জানিয়েছে প্রৌঢ়ের নাকের কাছে খুবলানোর দাগ পাওয়া গিয়েছে। যা দেখে তদন্তকারীদের ধারণা, ইঁদুর জাতীয় কোনও জীব ওই কাজ করতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দারাও এলাকায় ইঁদুরের উপদ্রবের কথা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মোহনবাবুর থাকার ঘরটি তালা বন্ধ। প্রসঙ্গত, এর আগে মেয়র ফিরহাদ হাকিম শহর কলকাতায় ইঁদুরের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ার কারনে সকলকে সাবধান হতে বলেছিলেন। তাঁর সেই সাবধানবাণী শোনার পরেও কসবায় মৃতের নাকে ইঁদুর ক্ষত করায় চিন্তিত প্রশাসন। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর