ব্যুরো নিউজ, ২১ নভেম্বর: পোষ্যদের কেন্দ্র করে বিবাদের পরিনতি নিলো চরম আকার
সাতসকালে মানিকতলা থানা এলাকার বিপ্লবী বারীন ঘোষ সরণির একটি আবাসনের দোতলার ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় এক মহিলার দেহ। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই মহিলার নাম শিল্পী সাহা। তার বয়স ৪১ বছর। গলায় শাড়ির ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার দেহটি একটি লোহার রড থেকে ঝুলছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, শিল্পী নামক ওই মহিলার দু’টি পোষা বিড়াল ছিল। সেই বিড়ালগুলিকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিত্যদিন ঝগড়া লেগেই থাকতো। ওই দম্পতির এক ছেলে রয়েছে। সে সম্প্রতি ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। তা নিয়েও রবিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রচুর অশান্তি হয়। তার পরেই এ দিন সকালে শিল্পীর ঝুলন্ত দেহ মেলে।
গোষ্ঠ যাত্রায় হাজারো ভিড়| সতর্ক প্রশাসন
পুলিশের দাবি, শিল্পীর স্বামী মহাদেব তাদের জানিয়েছেন, দেড় বছর আগে তাঁর স্ত্রী দু’টি বিড়াল পুষতে শুরু করেন। তাদের দেখাশোনাও করতেন শিল্পী নিজেই। বিড়ালের কারণে ঘর নোংরা হতো। যা মহাদেব মানতে পারতেন না। ফলে এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিত্য কলহ লেগেই থাকতো। মহাদেব আরও জানান, শিল্পী পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে একেবারেই সচেতন ছিলেন না। তিনি সব সময় ঘর পরিচ্ছন্ন রাখতে চাইতেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই বচসা লেগে থাকতো। এইরকম পরিস্থিতির মধ্যে আচমকাই ওই দম্পতির ১৭ বছরের ছেলে সুদীপ্ত ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হয়। ফলে অশান্তি আরও চরমে ওঠে। গত তিন দিন ধরে সুদীপ্ত ভর্তি রয়েছে ওই হাসপাতালে। তাই তিন দিন ধরে মহাদেবও হাসপাতালেই রয়েছেন। তাঁদের আর এক সন্তান রয়েছে এক আত্মীয়ের বাড়িতে। এ সব নিয়েই রবিবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল বচসা বাঁধে। এরপর শিল্পী রাতে হাসপাতাল থেকে একাই বাড়ি ফেরেন।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, এ দিন সকালে ওই দম্পতির এক আত্মীয় তাঁদের ফ্ল্যাটে এসে শিল্পীকে ডাকাডাকি করেও সাড়া পাননি। তার পরেই শিল্পীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার কথা জানাজানি হতে আবাসনের ভিতরে চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়। শিল্পীকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইভিএম নিউজ