ব্যুরো নিউজ, ৫ সেপ্টেম্বর: পিওকে কী ভাবছে?
পাকিস্তান অকুপাইড কাশ্মীর বা পিওকের একটি শহর গিলগিট বাল্টিস্তান। এখানকার ভঙ্গুর অর্থনীতি, মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি আকাশছোঁয়া হাওয়ায় জনগন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন পাকিস্তানের সরকারের বিরুদ্ধে।
এই বিক্ষোভ প্রতিবাদে সেখানকার জনগণের গলায় শোনা গেল গৃহযুদ্ধের কথা। তার সাথে ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করল গিলগিট বাল্টিস্তানের জনগণ। তাদের দাবি পাকিস্তানের সরকার যদি কোনও রকম সহযোগিতা না করে ও দাবি-দাওয়া না মানে তাহলে তারা কারগিলের দরজায় কড়া নাড়বে। এখানকার জনগণের গলায় শোনা গেল চলো চলো কারগিল চলো।
জি-২০ সম্মেলন | সাজোসাজো রব দিল্লিতে
৩১ শে আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে জোরদার বিক্ষোভ। বন্ধ হয়ে গেছে দোকানপাট, স্তব্ধ জনজীবন। রাস্তায় ধরনায় বসেছেন জনগণ। পাকিস্তান ও পিওকের সরকারের বিরুদ্ধে তুলছেন ভুরি ভুরি অভিযোগ। মনে প্রানে তাদের দাবি পিওকে অধিগ্রহণ করুক ভারত। মুক্তি দিক পাকিস্তানের অত্যাচারের হাত থেকে।
ইতিহাসে আছে ব্রিটিশরা যখন ভারত ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে তখন জম্মু-কাশ্মীরে স্বাধীন রাজা ছিলেন হোরি সিং। মুসলিম সম্প্রদায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় ইংরেজরা হোরি সিংকে ৩টি প্রস্তাব দেন। এক পাকিস্তানের সঙ্গে মিশে যাওয়া, দুই ভারতের সঙ্গে মিশে যাওয়া, তিন স্বাধীন নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকা।
রাজা হরি সিং তখন জম্মু-কাশ্মীরকে স্বাধীনভাবে নিজের দখলে রেখেছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতার পর পাকিস্তান যখন সুকৌশলে জম্মু ও কাশ্মীর দখল করে নিতে শুরু করে সেই সময় হোরি সিং ভারতবর্ষের সরকারের কাছে সাহায্য চায় তাদের রক্ষা করার জন্য। ভারতের সরকার সেই সময় সৈন্য পাঠিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের বাকি অংশটা পাকিস্তানের আগ্রাসন থেকে রক্ষা করে। ওই সময় পাকিস্তানের সৈন্যবাহিনী যে অংশটা দখল করে নিয়েছিল বর্তমানে সেই অংশের নাম পিওকে। এই পিওকেরই একটি শহরের নাম হলো গিলগিট বাল্টিস্তান।
এখানকার মানুষদের অভিযোগ এখানে কোনও আইনের শাসন নেই। এখানে চরম প্রশাসনিক অব্যবস্থা ও পথভ্রষ্ট সরকার। যার ফলেই শুরু হয়েছে অচলায়তন। চরম দ্রব্যমূল্য, বিদ্যুৎহীন শহর, আকাল পানীয় জল। এবং সরকারের দমন নীতির বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন আগে থেকে সরব হয়েছিলেন এখানকার মানুষজন।
আর এবার মুখ খোলেন এক সিয়া ধর্মগুরু।যদিও এরপর গ্রেফতারও হন তিনি। প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন হাজার হাজার মানুষ। এখন বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে গিলগিট বাল্টিস্তান। ইতিমধ্যেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা, মোতায়ন করা হয়েছে বিপুল সেনাবাহিনী। তবে পাকিস্তানি সেনা মোতায়নের বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের অন্তবর্তী তথ্যমন্ত্রী। গিলগিট বাল্টিস্তানের মানুষজনের এখন একটাই দাবি যুক্ত করো আমাদের ভারতের সঙ্গে। ইভিএম নিউজ