ব্যুরো নিউজ, ১২ অক্টোবর: টানা সাড়ে আট ঘণ্টা ধরে চলে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ
গতকাল নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছিলো ইডি। টানা প্রায় সাড়ে আট ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অভিষেক জায়াকে। গতকাল তাকে ইডি সকাল ১১ টার মধ্যে হাজির হতে বলেছিল। সকাল ১১ টার আগেই কালো কাচ তোলা গাড়িতে করে সিজিও কমপ্লেক্সে আসতে দেখা যায় তাকে। তিনি পৌনে এগারোটা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকেন। আর যখন বের হলেন তখন ঘড়ির কাটায় সময় সন্ধ্যে সাড়ে সাতটার কাছাকাছি। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর সুত্রে বেসরকারি সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নাম জড়ায়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইডি আগেই দাবি করেছে যে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই সংস্থার মাধ্যমে অনেক সন্দেহজনক লেনদেনও হয়।
ইডি সুত্রে দাবি, বেসরকারি সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের লেনদেন সহ আরও অনেক বিষয়ে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। কলকাতা হাই কোর্ট কেন্দ্রীয় সংস্থাকে প্রশ্ন করেছিলো, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টরদের এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি কেন? সিইও হওয়া সত্ত্বেও কেন অভিষেকের কাছ থেকে আয় ও অন্যান্য লেনদেনের পূর্ণাঙ্গ তথ্য তলব করা হয়নি? ইডি সুত্রে দাবি, প্রথমে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টরের পদে ছিল অভিষেক, আমিত, লতা ও সুজয়কৃষ্ণ। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে অভিষেক ডিরেক্টর পদ ছেরে দেন। অভিষেকের পর ডিরেক্টর হন রুজিরা। পরে সুজয়কৃষ্ণ ওই সংস্থা ছেড়ে নিজের একটা সংস্থা খোলেন। সুজয়কৃষ্ণের সেই সংস্থার সাথেই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমান পাওয়া গেছে বলে ইডি সুত্রে দাবি।
এরপর সংস্থার ডিরেক্টর হওয়ার কারনে অভিষেকের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ডেকে পাঠায় ইডি। সমন যায় রুজিরার কাছেও। এরপর শুধু রুজিরা সশরীরে হাজির হয়েছেন ইডি দফতরে। অভিষেককে সশরীরে হাজির হতে না হলেও হাইকোর্টের নির্দেশে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিষেকের তথ্য জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। অভিষেকের মা ও বাবা ও শুধু নথি পাঠিয়েছেন। ইডি জানিয়েছেন রুজিরাকে প্রশ্ন করা হয়েছে, সংস্থার নথি ও লেনদেনের বিষয়ে তিনি কি জানেন। ইডির অভিযোগ তাকে করা অনেক প্রশ্নেরই সন্তোষজনক উত্তর তিনি দেননি। রুজিরার বয়ান, জমা পরা নথির সাথে মিলিয়ে দেখা হবে। আগেও দু দফায় কয়লা পাচার কাণ্ডে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিলো। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি। ইভিএম নিউজ