ব্যুরো নিউজ, ৮ ডিসেম্বর: জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে বিচারপতির কড়া মন্তব্য

জাতীয় সঙ্গীতকে সম্মান জানাতে হয়। শ্রদ্ধা করতে হয়। তাঁকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা উচিৎ নয়। তা আপনারা করবেন না। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে  একটি মামলায় এমনই মন্তব্য করলেন ‘বিরক্ত’ বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ অনুষ্ঠান বানচাল করতে টেট পরীক্ষার দিন বদল : শুভেন্দু অধিকারী

উল্লেখ্য, বিধানসভা কক্ষের বাইরের মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ করছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক মন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী-সহ অনেকেই। ঠিক তার অদূরেই প্রায় ৩০ মিটার দূরত্বে বিজেপি বিধায়কেরাও তৃণমূল বিরোধী শ্লোগান দিতে ব্যস্ত ছিলেন। সেসময় হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রী -সহ তৃণমূল বিধায়কেরা জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করেন। আর বিজেপি বিধায়কেরা শ্লোগান ও বাসনপত্র বাজাতে থাকেন, তৃণমূলের উদ্দেশ্যে ‘চোর’ শ্লোগান দিতে থাকেন। আর তাতেই ক্ষুব্ধ তৃণমূল বিধায়কেরা বিজেপির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন জাতীয়  সঙ্গীত অবমাননার।

পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করে বিজেপি। সেই মামলায় বিচারপতি বলেন, হঠাৎ যদি কেউ কোনও জায়গায় জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করেন, আর পাশেই কোনও অসুস্থ রোগী শয্যাশায়ী থাকেন, তবে কীভাবে তিনি উঠে দাড়াবেন? বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, দেশকে সম্মান জানানোর জন্য জাতীয় সঙ্গীত? নাকি বিরোধীদের ফাঁসানর জন্য? বিচারপতি একটি উদাহরণ টেনে বলেন, এসএসসি দুর্নীতির কারণে একটি দল বিক্ষোভ করছে, আর আপনারা সেখানে সকাল থেকে জাতীয় সঙ্গীত বাজিয়ে দিলেন, তাহলে কি বিক্ষোভ হবেনা?  জাতীয় সঙ্গীত শুরুর সঙ্গে দ্রুত সম্মান জানানো সম্ভব নাও হতে পারে। শয্যাশায়ী রোগীরা কী করবেন?

জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার FIR যখনই দায়ের করে তৃণমূল কংগ্রেস, সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত পদক্ষেপ করে হেয়ার স্ট্রিট থানা। তারা ঢুকেপরে বিধানসভা চত্বরে। পুলিশের এই অতি সক্রিয়তার সমালোচনা করেন বিচারপতি। তিনি কড়া সুরে বলেন, এক জওয়ানের প্রতিবন্ধী মাকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে FIR নেয়নি পুলিশ। আর এক্ষেত্রে বিস্ময়কর ভাবে অতি সক্রিয় পুলিশ! পুলিশ আদালতে তৃণমূলের জমায়েতের ছবির ফুটেজ পেশ করে। কিন্তু, আদালত জানিয়েছে, ওই ফুটেজে বিজেপির বিক্ষোভের ছবি নেই। এই মামলা নিয়ে রাজ্য সরকারের অতি উৎসাহ দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি।

আদালত চেয়েছিল হলফনামা জমা নিয়ে ওই মামলার শুনানি করতে। কিন্তু রাজ্য সরকারের সময় নেই। আপনাদের কাণ্ড-কারখানা দেখে বিস্মিত হচ্ছি। রাজ্যের আইনজীবীকে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, আপনারা যদি রাজনৈতিক মামলার শুনানি চান, তবে তাই হবে। খুন, দর্শনের মামলা পরে হবে। কারণ, এরচেয়ে রাজনৈতিক মামলার গুরুত্ব বেশি। রাজ্যের কৌশুলি কিশোর দত্তের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, আপনি কি আশা করেন যখন কোনও জায়গায় যখন গোলমাল হয়, তখন সেখানে জাতীয় সঙ্গীত বাজালে পরিস্থিতি শান্ত হবে? এসব বন্ধ হওয়া দরকার। ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত এই মামলার ওপর স্থগিতা দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। তবে, আগামী ১০ জানুয়ারি ওই মামলা শুনবেন বিচারপতি। ইভিএম নিউজ  

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর