ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১২ এপ্রিলঃ (Latest News) চ্যাম্পিয়ন দলের মতই সুপার কাপের অভিযান শুরু করল এটিকে-মোহনবাগান। প্রতিপক্ষ গোকুলাম-কেরলকে এদিন ৫-১ গোলে হারাল জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। পাশাপাশি ডুরান্ড কাপে হারের বদলাও নিয়ে নিল মেরিনার্সরা।

কেরলের মাটিতে গোকুলাম-কেরল এফসিকে হারানো অনেকটা সিংহের গুহায় ঢুকে সিংহ শিকারের মতোই। দীর্ঘদিন পরে গোলে ফিরলেন জাতীয় তারকা লিস্টন কোলাসো। গোটা আইএসএলেই গোলের সন্ধানে হাঁকপাঁক করতে হয়েছিল ভারতীয় দলের এই  উইঙ্গারকে। ফলে ছিটকে যেতে হয়েছিল প্রথম একাদশ থেকে। কিন্তু সুপার কাপের প্রথম ম্যাচেই দু’দুটো গোল করলেন আইএসএল-এ ফর্ম হারানো লিস্টন। ম্যাচের ৬ মিনিটের মাথায় কার্যত একক দক্ষতায় দলকে এগিয়ে দেন লিস্টন। বক্সের মধ্যে বাঁদিক থেকে নেওয়া শট ডান পোস্ট দিয়ে সোজা ঢুকে যায় গোলে। কি অসাধারন প্লেসিং। কার্যত অসহায় অবস্থায় পড়তে হয় গোকুলাম গোলরক্ষ শিবিন রাজকে।

শুরুতে গোল পেলেও গোটা ম্যাচে আক্রমণের ঝাঁজ কমায়নি মোহনবাগান। বরং আক্রমনের চাপে স্থানীয় দলকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় মোহনবাগান।  পিছিয়ে পড়লেও প্রতিপক্ষের চাপ সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে গোকুলাম। সুযোগ এসেছিলো।  কিন্তু তা সবুজ মেরুন রক্ষন ভাঙার পক্ষে যথেষ্ট ছিল না। ২৭ মিনিটে ফের এগিয়ে যায় এটিকে-মোহনবাগান। এবারও ব্যবধান বাড়ান লিস্টনই। প্রথম গোলের মত দ্বিতীয় গোলও দারুণ। বাঁদিকের উইং বরাবর উঠে এসে দূরপাল্লার শটে গোল লিস্টনের। টপ কর্নারে গোলরক্ষক শিবিনের মাথার ওপর দিয়ে বল ঢোকে জালে। বিশ্বমানের গোলের সাক্ষী থাকল গোটা স্টেডিয়াম।

বিরতির আগে এটিকে-মোহনবাগানের হয়ে তিন নম্বর গোলটি করেন হুগো বুমোস। ফরাসি এই মিডফিল্ডারের আগামী মরশুমে  মোহনবাগান ছাড়ার নানা জল্পনা শোনা গেলেও এই গোল তাঁর আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ম্যাচের ৬৭ মিনিটের মাথায় দলের হয়ে চার নম্বর গোলটি করেন মনবীর সিং। গোলের গোলের রাস্তা তৈরি করে দেন হুগো বুমোস । বাঁদিক থেকে উঠে আসা মনবীরকে পাসটি বাড়ান হুগো।

ম্যাচের ৭১ মিনিটে ব্যবধান কমায় গোকুলামের মেন্ডি। ডানদিকের উইং দিয়ে ওমরের ফ্রি-কিক থেকে বল পেয়ে বাউমার তা বাড়িয়ে দেন মেন্ডিকে। গোল করতে ভুল করেননি মেণ্ডিও। ম্যাচের শেষ বেলায় এটিকে-মোহনবাগানের হয়ে গোলের ব্যবধান বাড়ান কিয়ান নাসিরি। গোল পেতে পারতেন আশিস রাইও । পোস্টে লেগে তাঁর শট বাইরে চলে যায়।

শেষ পাঁচ মিনিটে গোলসংখ্যা আরও বাড়াতে পারত মোহনবাগান। তাতে লজ্জা আরও বাড়ত গোকুলামের। এদিন দলে থাকলেও তিরিকে মাঠে নামাননি ফেরান্দো। দলের ফুটবলারদের সুপার কাপের প্রতিটি ম্যাচই ফাইনাল ম্যাচ ধরে এগোনোর নির্দেশ দিয়েছেন সবুজ-মেরুন কোচ। আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় প্রত্যাশার চাপ বেড়েছে মেরিনার্সদের। সেই চাপ সামলানোর জন্য সবুজ মেরুন শিবির যে পুরোপুরি তৈরি তার প্রমাণ সুপার কাপের প্রথম ম্যাচে এই পাঁচ গোল।(EVM News)

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর