ব্যুরো নিউজ, ৩১ ডিসেম্বর: কলকাতা থেকে কোচবিহার ‘বাংলায় বিকল্প রাজনীতি’-র খোঁজ
লোকসভা ভোটের আগে বাংলায় পোষ্টার রহস্য! শ্যামবাজার, ধর্মতলা, পার্ক সার্কাস, রাসবিহারী হাজরা মোড়-সহ শহরের একাধিক জায়গায় পোস্টার পড়েছে বাংলায় বিকল্প রাজনীতি-র।
কেন্দ্রের নয়া পরিবহণ আইনের প্রতিবাদ | ট্রাক চালকদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত ডানকুনি
রবিবার সকালে দেখা যায় কলকাতার গড়িয়াহাট, রবীন্দ্র সদন, শ্যামবাজারের মতো এলাকায় এই পোস্টার পড়েছে। প্রদেশ কংগ্রেসের সদরদপ্তর বিধানভবনের সামনেও এই পোস্টার আছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ‘বিকল্প রাজনীতি’ চেয়ে পোস্টার পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আজ সকালে গড়িয়াহাটে এই পোস্টার দেখা যায়। যেখানে লেখা ‘বাংলায় বিকল্প রাজনীতি’। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, রাতের অন্ধকারে এই পোস্টার কেউ লাগিয়ে থাকতে পারে। এরপর একে একে খবর আসতে থাকে, শ্যামবাজার, পার্ক স্ট্রিট, এক্সাইডের মতো শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতেও এই পোস্টার লাগানো হয়েছে। এমনকি এই রকমই পোস্টার পড়েছে আবার কোচবিহারের মাথাভাঙাতেও।
কলকাতা থেকে কোচবিহার ‘বাংলায় বিকল্প রাজনীতি’খোঁজ এই প্রথম দেখল বঙ্গবাসী। তবে কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। তবে, এর আগে একাধিক বিরোধী নেতার মুখে শোনা গিয়েছে বিকল্প রাজনীতির কথা। কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী বিকল্প রাজনীতির কথা বলেছিলেন। এখন রাজনীতি মহলের একাংশ মনে করছেন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পড়া এইসব পোস্টারের সঙ্গে সেই বক্তব্যের সম্পর্ক রয়েছে। ফলে এনেকেই মনে করছেন, এই পোস্টারের মাধ্যমে বিকল্প রাজনীতিকে বঙ্গে চর্চায় আনার জন্যই ব্যবহার করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কৌস্তভ বাগচী জানিয়েছেন, “পশ্চিমবঙ্গের ভবিতব্য হতে চলেছে বিকল্প রাজনীতি। আজ সারা বাংলাজুড়ে শোনা যাচ্ছে এরকম পোস্টারও পড়েছে। আমি কখনওই দায় এড়াব না যে বিকল্প রাজনীতির কথা আমি বলিনি। বারংবার বলেছি। আগেও বলেছি, আজও বলছি, আগামিদিনেও বলব। আর আমার এই কথা যদি কোনও ব্যক্তি বা সমষ্টিকে উদ্বুদ্ধ করে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করি।”
তবে নামহীন এই পোস্টারের গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তিলেছেন তৃণমূলের মাথাভাঙা শহর ব্লক সভাপতি বিশ্বজিৎ রায়। তিনি বলেন, “ভারতবর্ষ গণতান্ত্রিক দেশ। যে কেউ রাজনীতি করতে পারে। নাম ছাড়া এসব পোস্টার কে দিল, জানি না। নাম ছাড়া পোস্টারের কী বা গুরুত্ব?” ইভিএম নিউজ