ব্যুরো নিউজ, ৫ সেপ্টেম্বর: ‘আপাতত বাতিল হচ্ছে না নিয়োগ’। বাড়িয়ে দেওয়া হলো স্থগিতাদেশের মেয়াদ’। রায় বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চের।
সাময়িক স্বস্তি পেলেন রাজ্যের ৩২ হাজার প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছিল। অভিযোগ ছিল টাকার বিনিময়ে তাদের চাকরি হয়েছে। ওয়েমার শিটে কারচুপি, ডি এল এড সার্টিফিকেট না থাকা এইসব কারণে বাতিল হয় ৩২ হাজার প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি। বিচারপতি বলেন এই ৩২ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি বাতিল করে পুনরায় অ্যাপটিটিউড টেস্ট দিয়ে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে। এবং শুধুমাত্র তারাই এই টেস্ট দিতে পারবে যাদের ডিএলএড সার্টিফিকেট আছে।
পুরসভার সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ! দায়ের মামলা
অভিযোগ উঠেছিল শূন্য খাতায় চাকরি পেয়েছে অনেকে। যারা প্রকৃত নম্বর পেয়েছে তারা অনেকেই চাকরি পাননি। পরবর্তীকালে সেই মামলা বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে যায়। সেখানেও বহাল থাকে সিঙ্গেল বেঞ্চের এই নির্দেশ। এরপর এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সুপ্রিম কোর্ট ওই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় এবং সব পক্ষের বক্তব্য শোনার কথা বলে। এই মামলা ফের হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেয়। সেই মামলা ওঠে বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে। আর এখানেই বলা হয় আপাতত বাতিল হচ্ছে না নিয়োগ।বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে স্থগিতাদেশের মেয়াদ। শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই শিক্ষকদের চাকরি বহাল থাকবে পাশাপাশি নিয়ম মেনে তারা বেতনও পাবেন। ইভিএম নিউজ