ব্যুরো নিউজ, ৪ নভেম্বর: সাংবাদিকদের মুখোমুখি কলকাতা পুরসভার মেয়র
কলকাতা কর্পোরেশনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, কলকাতায় খাটাল তুলে দেওয়া হয়েছে কারন কলকাতায় আইনত খাটাল থাকা উচিৎ নয়। তাই ওইসব খাটাল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ডানকুনিতে।
রাজধানির জন্য মার খাচ্ছে দুরন্ত
তিনি আরও বলেন, বন আইন খুব কঠোর। সেই আইনে বলা আছে, যারা গাছ কাটবে, তাদের গ্রেফতার করা হবে। শুধু গ্রেফতারি নয়, বেআইনিভাবে গাছ কাটলে হতে পারে জরিমানাও। আমাদের ১ নম্বর বোরো তে মিটার বসানো হয়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে জলের প্রেসার কমে গেছে। সেটা ডি জি জল বিভাগ গিয়ে পরিস্তিতি খুঁটিয়ে দেখবেন বলে জানান মেয়র। আগে ১৩০০ ছিল এখন সেইটা কমে ১০০০ সংখ্যায় নেমেছে। নতুন করে বৃষ্টি না হলে এটা ৫০০ হয়ে যাবে। যেদিন মানুষ বুঝে যাবেন সেদিন এটা শূন্যে হয়ে যাবে বলে জানান মেয়র। রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়েও তিনি এইদিন কথা বলেন।
পুরসভায় কর্মীর অভাব রয়েছে বলে স্বীকার করলেন মেয়র। আগে টাইপ রাইটার ছিল। কিন্তু এখন এত কর্মী লাগে না। অযথা লোক না নিয়ে সেই টাকা আলো, ও জলের জন্য ব্যবহার করা হলে তাতে সমাজের ভালো হবে। পুজোর সময়কার প্যান্ডেল এখনো যেইসব জায়গায় লাগানো আছে সেইসব প্যান্ডেল উদ্যোক্তাদের উদ্দশ্যে তিনি বলেন, দয়া করে প্যান্ডেল গুলো খুলে ফেলুন। গর্ত গুলো কে খুলে দিন। এমন কি পুজোর বিজ্ঞাপন খুলে নিন। না খুললে আমরা এর বিরুদ্ধে জরিমানা করব।
পার্কসার্কাস মার্কেটের ব্যবসায়িদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, পার্কসার্কাস মার্কেট তিনি কালীঘাটে শিফট করতে চান। তারা যদি ওই জায়গা ছেড়ে দেয় তাহলে আমরা তাদের মার্কেটের কাজ করে দেব। আমরা পূর্নবাসন করতে চাইছি। যদি তারা না সরেন আর যদি মার্কেট ভেঙে পড়ে তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবো বলে হুশিয়ারি দেন মেয়র। কিছু দিনের জন্য যদি মার্কেট পার্কসার্কাসে যায় তাহলে তাদের লাভ হবে। কালীঘাটের সামনে যারা ছিল তাদের হাজরা পার্কে জায়গায় দেওয়া হয়েছিল। ইভিএম নিউজ