ব্যুরো নিউজ, ১৪ ডিসেম্বর: মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে কেন থাকবেন না শুভেন্দু? কী কারণ?
বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। রাজ্যের মানবাধিকার কমিশনের সদস্যের নাম ঠিক করতে এই বৈঠক। বৈঠকে নবান্ন থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিরোধী দলনেতাকে। কিন্তু বৈঠক শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু জানান, তিনি বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পাড়বেন না। বৈঠকে যোগদান না করার পেছনে তিনটি বিষয়কে তুলে ধরেছেন বিরোধী দলনেতা।
শুনানি চলাকালীন আদালতে আগুন | ধোঁয়ায় ভরলো চারদিক
প্রথম কারণ হিসাবে জানান, ‘এই বৈঠক আসলে ‘লোকদেখানো’র মতো বিষয়, কারণ এখানে নিজেদের পছন্দ মতো ব্যক্তিকে বসানোর সিদ্ধান্ত আগে থেকেই নিয়ে নেওয়া হয়েছে। যাঁদের মধ্যে বেছে নেওয়ার কাজ হবে, সেই তালিকায় রয়েছেন মাত্র তিন জন। সেই তালিকায় এমন এক জন রয়েছেন, যিনি মুখ্যমন্ত্রীর চোখের মণি। যাঁকে পশ্চিমবঙ্গের তথ্য কমিশনার নিয়োগ করা হয়েছিল। এ বার তাকে পুর্নবাসন দিয়ে রাজ্যের মানবিধাকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদে বসানো হচ্ছে।’ প্রসঙ্গত, রাজ্যের মুখ্যসচিব ছিলেন বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে শুভেন্দু তাঁর কথাই বলেছেন।
দ্বিতীয় কারণ হিসাবে রাজ্যে একের পর এক ঘটে চলা ঘটনায় মানবাধিকার কমিশনের নিষ্ক্রিয় থাকার কথা উল্লেখ করেছেন, ২০২১ সালের ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার সময় রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা প্রমাণ করে দিয়েছে এটি একটি অকেজো সংগঠন। এ ছাড়া বগটুই গণহত্যা, এগরার বোমা বিস্ফোরণ, জয়নগরের ঘটনা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার ঘটনায় কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজ্য সরকারকে সন্তুষ্ট করার জন্যই কাজ করেছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন।
তৃতীয় কারণ, ‘রাজ্য মানবাধিকার কমিশন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। সরকারকে যখন কোনও দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে হয়, তখন সরকারের হয়ে কাজ করতে তাদের নামানো হয়।’ এই ৩ টি প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক বয়কট করার কথা জানিয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি তিনি পশ্চিমবঙ্গ মানবাধিকার কমিশনকে সরকারের হাতের পুতুল বলে তীব্র আক্রমণ করেছে শুভেন্দু। ইভিএম নিউজ