রাজীব ঘোষ, ১৭ অক্টোবর: বারোয়ারি পুজোয় বনেদিয়ানা | আসতেই হবে এই পুজোমন্ডপে
থিমপুজোর রমরমার সময়ও পুরনো সাবেকিয়ানা ধরে রেখেছে এই দুর্গাপুজো। বনেদিয়ানা এখানকার পুজোর মূল বৈশিষ্ট্য। মাঝখানে বছর কয়েক থিম পুজোয় গা ভাসালেও পরবর্তীতে ফের বনেদিয়ানায় ফিরে এসেছে পুজো কমিটি।
ভবানীপুর ৭৫ পল্লীর পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী
এখানকার মাতৃ আরাধনা সরস্বতী পুজো দিয়ে শুরু হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে ভারতের ইতিহাসে এক বিশাল রদবদল হয়। তার আগেই ১৯৪৫ সাল থেকেই দুর্গা পূজার শুরু হয়। সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে ১৫ই আগস্ট বেলগাছিয়া যুব সম্মিলনীর প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৪৫ সালে দুর্গাপুজো শুরু হয়ে তা আজ ৭৯ বছরে পা দিয়েছে। মাঝখানে দুই-এক বছর থিম পুজো করেছিল বেলগাছিয়া যুব সম্মিলনী। কিন্তু পরবর্তীতে ফের সাবেকিয়ানার প্রাচীন রীতিতে ফিরে আসে পুজো কমিটি।
উত্তর কলকাতার বারোয়ারী পুজোগুলির মধ্যে বেলগাছিয়া যুব সম্মিলনীর পুজো অন্যতম। সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত সমস্ত মানুষের জন্য দুই বেলা ভোগের ব্যবস্থা করা হয়। প্রাচীন রীতি অনুযায়ী নিয়ম মেনে নিষ্ঠা করে মা এখানে পূজিত হন। শুধু ব্রাহ্মণরাই মায়ের ভোগ রান্না করেন। দশমীতে সিঁদুর খেলা হয়। এই সিঁদুর খেলায় মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষরাও আনন্দে মেতে ওঠেন। নবমীতে ঢাক বাজানো, ধনুচিনাচ-সহ বহু অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বেলগাছিয়া যুব সম্মিলনীর পুজো কমিটির তরফে জানানো হয়, স্বাধীনতার আগে থেকে আমাদের পুজোর শুরু। চিরকাল নবীন এবং প্রবীণ মিলেই এই পূজার আয়োজন করা হয়। শুধুমাত্র পুজো নয়, সারা বছর বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কাজকর্মেও এই ক্লাব যুক্ত থাকে।
এবার বেলগাছিয়া যুব সম্মিলনীর প্রতিমা তৈরি করছেন শিল্পী মহাদেব পাল। তাই বারোয়ারি পুজোয় বনেদিয়ানার স্বাদ নিতে হলে অবশ্যই আসতে হবে বেলগাছিয়া যুব সম্মিলনীর পূজা মন্ডপে। আজও এই পুজো যেন সম্প্রীতির প্রতীক হয়ে রয়েছে। ইভিএম নিউজ