ব্যুরো নিউজ, ২৫ অক্টোবর: ‘বাড়ি’ কেনার কিছু সুবিধা
নিজের বাড়ির স্বপ্ন প্রায় প্রত্যেক মানুষেরই থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই একটি বাড়ি কিনতে লোন নেওয়ার জন্যে কোনও ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নেওয়া হয়। এই লোন নেওয়ার পর প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সুদের হারে ইএমআই দিতে হয়। অপরদিকে, অনেকেই বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। তাঁদের ক্ষেত্রে মাসের শেষে ভাড়া দিতে হয়। ফলে অনেকে বাড়ি কেনার আগে ভাবেন যে, কোন বিকল্পে তাঁর বেশি লাভ হবে।
বর্তমানে অনেকে মনে করেন বাড়ি কিনে ইএমআই দেওয়ার থেকে ভাড়া থাকা বেশি ভালো বিকল্প হতে পারে। কিন্তু এই বিষয় তাঁরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক তারা কিন্তু ভেবে দেখেন না। বাড়ি ভাড়া নেওয়ার সুবিধা থাকলেও, কিনলেও একাধিক সুবিধা পাওয়া যায়। যার ফলে উভয় বিকল্পের মধ্যে বাড়ি কেনাটাই বেশি লোক পছন্দ করেন। তাহলে জেনে নেওয়া যাক
বাড়ি কেনার কি কি সুবিধা:
1. ইক্যুইটি বৃদ্ধি – বাড়ির মালিকানা সময়ের সঙ্গে ইক্যুইটি তৈরি করে।
2. স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা – একটি বাড়ির মালিকানা স্থিতিশীলতা প্রদান করে, ভাড়া বৃদ্ধি বা আকস্মিক স্থান পরিবর্তন সম্পর্কে কোন চিন্তা থাকে না।
3. ট্যাক্স সুবিধা – সরকার হোম লোন পরিশোধের মূল ও সুদের উপর কর ছাড় দেয়।
4. দাম বৃদ্ধি – রিয়েল এস্টেটের দাম সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে। যখন আপনি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন তখন অনেক টাকার লাভ পাওয়া যায়।
১২ বছর পর একসঙ্গে | বক্সঅফিসে দেদার ছক্কা
বাড়ি ভাড়ার সুবিধা:
1. স্বল্প মেয়াদী ব্যবস্থা – যারা কাজের কারণে ঘন ঘন স্থানান্তরিত হয় তাদের জন্য ভাড়া উপযুক্ত। এতে তাঁদের একাধিকবার বাড়ি কেনা বা বিক্রি করা সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। নিশ্চিন্তে কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনও শহরে থাকা যায়।
2. প্রাথমিক খরচ সঞ্চয় – বাড়ি ভাড়া নিলে সীমিত টাকার প্রয়োজন হয়। ফলে আপনার এক সঙ্গে অনেক টাকার দরকার হয় না। যার ফলে যাদের কাছে টাকা কম রয়েছে, তাঁদের বিশেষ সুবিধা হয়।3. রক্ষনাবেক্ষনের সুবিধা – নিজের বাড়ি হলে রক্ষনাবেক্ষনের জন্য প্রতি বছর অনেক টাকা খরচ হতে পারে। অপরদিকে, ভাড়া বাড়িতে থাকলে এই ধরণের কাজে টাকা খরচ হয় না।
তবে এটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে আপনার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে যে আপনার জন্য কোনটি বেশি লাভদায়ক। ইভিএম নিউজ