ব্যুরো নিউজ, ২ অক্টোবর: দুর্যোগের মধ্যে নদীর চড়ায় আটকে যাত্রীবোঝাই ভেসেল | আতঙ্কিত যাত্রীরা

জোড়া নিম্নচাপের কারণে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকায় শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। আর ভারী বৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপকূল তীরবর্তী এলাকাগুলিতে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। এই দুর্যোগের মধ্যে কাকদ্বীপের মুড়িগঙ্গা নদীর চড়ায় আটকালো যাত্রী বোঝাই ভেসেল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরের কচুবেড়িয়া ভেসেল ঘাট থেকে একটি ভেসেল কয়েকশো যাত্রী নিয়ে কাকদ্বীপের লর্ড নম্বর ৮ ভেসেল ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। ভারী বৃষ্টির কারণে দৃশ্যমানতার অভাবে ভেসেলের চালক সঠিকভাবে দিক নির্ণয় না করতে পারায় মুড়িগঙ্গা নদীর চড়ে ভেসেলটি আটকে যায়।

মুড়িগঙ্গা নদীর মাঝখানে ভেসেল কি আটকে যাওয়ার কারণে ভাসেলে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ভেসেলে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কে চিৎকার শুরু করে দেয়। এরপর নিত্যযাত্রীদের সহযোগিতায় ভেসেলে থাকা যাত্রীদের তীরে আনার চেষ্টা চালানো হয়। কোনও যাত্রীকে কোলে করে, আবার কোনও যাত্রীকে কাঁধে করে নিত্যযাত্রীরা তীরে নিয়ে আসে। যাত্রীদের তীরে আনার জন্য সহযোগিতা করে ভেসেলে থাকা কর্মীরাও।

থানার সামনেই বিক্ষোভ | পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

জানা যায়, এই উদ্ধারকার্যে ভেসেলে থাকা এক কর্মীর পা ভেঙে যায়। এই বিষয়ে এক নিত্যযাত্রী শ্যামল কুমার বাগ বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া তার জেরে ভেসেল নদীর চড়ে আটকে গিয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে ভেসেল কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। যাত্রীরা কার্যত প্রায় ২০০ মিটার পায়ে হেঁটে তীরে পৌঁছায়। এক ঘন্টার ওপর ভেসেল নদীর চড়ে আটকে ছিল। এরপরেও ভেসেল কর্তৃপক্ষের কোন হেলদোল আমরা দেখতে পাইনি।

এই বিষয়ে এক ভিন রাজ্যের পুণ্যার্থী সহেলি আগারওয়াল জানান, প্রশাসনের চূড়ান্ত অব্যবস্থা রয়েছে এখানে। আমরা গঙ্গাসাগর থেকে ফিরছিলাম সেই সময় আমাদের ভেসেল নদীর চড়ায় আটকে গিয়েছে। বেশ কিছুক্ষণ ধরেই এই নদীর চড়ে আটকে ছিল এই ভেসেলটি। ভেসেল কর্তৃপক্ষের কোনও বিকল্প ব্যবস্থা ছিল না। কার্যত বাচ্চা ও বয়স্কদের নিয়ে আমরা ওই কাঁদার মধ্যে নামলাম এবং বেশ কিছুক্ষণ হেঁটে আমরা এই তীরে এসে পৌছালাম। এইরকম পরিস্থিতিতে বড়সড়ো দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। প্রশাসনের উচিৎ এদিকে নজর দেওয়া।

এ বিষয়ে এক ভেসেল কর্মী দুলাল পন্ডিত বলেন, উত্তরে হাওয়া থাকার কারণে ভেসেল চড়ায় আটকে যায়। সেই সময় নদীতে ভাঁটা থাকার কারণে নদীর জলস্তর নেমে যায়। এর ফলে ভেসেলে থাকা নিত্যযাত্রীরা ও ভেসেল কর্মীরা ভেসলে থাকা যাত্রীদের তীরে আনতে সাহায্য করে। এই গোটা উদ্ধার কার্যের সময় এক ভেসেল কর্মীর পা ভেঙে যায়। আহত ওই ভেসেল কর্মীকে ইতিমধ্যেই কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এই গোটা ঘটনায় শাসকদলকে নিশানা করতে ছাড়েনি মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতা অরুনাভ দাস। “প্রতিবছর ড্রেজিংয়ের নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। কিন্তু, সেই টাকা যাচ্ছে কোথায়? কাজতো হচ্ছে না। নিত্যযাত্রীদের নিত্যদিনের সেই সমস্যা এখনও পর্যন্ত রয়ে গিয়েছে। কবে মিটবে এই সমস্যা? দুর্যোগের মধ্যে বড়সড়ো ক্ষতি হয়ে যেত যাত্রীদের। রাজ্য সরকার এই বিষয়ে নজর দিক”। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর