ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১৬ মেঃ (Latest News) ৩২০০০ চাকরি বাতিল
বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের এজলাসে আপাতত কোন স্বস্তি নয় ৩২ হাজার চাকরি হারাদের। কোন স্থগিতাদেশ নয় ডিভিশন বেঞ্চে। বুধবার ফের শুনানি।
বিচারকের বক্তব্য ছিল : সিঙ্গল বেঞ্চ তো এই চাকরিহারাদের নেকড়ের সামনে ছুঁড়ে ফেলে দেয়নি। আপনাদের গোটা প্রক্রিয়ার মধ্যেই রেখেছে। কিছু কঠিন বাস্তব আছে এই রায়ে।
পর্ষদের আইনজীবী কিশোর দত্ত বলেন, পর্ষদের কোনও বক্তব্য রায়ে প্রতিফলিত হয়নি। প্যানেলের মেয়াদ শেষের পর কেন মামলা।
বিচারপতি :: কিভাবে সামলাবেন এপটিটিউড সংক্রান্ত বিষয়। তারা অপ্রশিক্ষিত, এপটিটিউড টেস্ট হয়নি। রায়ে তাদের বের করে দেওয়া হয়নি। কেন আগ্রহ নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন না। এটা কোনও ব্যাক ডোর বা ভেন্টিলেটর নয় যে হুট করে ঢুকে যাবে।
লক্ষ্মী গুপ্ত, কিশোর দত্ত :: আবার পরীক্ষা কে দেবে। কারোর কথা শোনা হয়নি। অভিযোগের উপর ভিত্তি করে শুধু একটি হলফনামা জমা হয়। চাকরিহারাদের বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয়নি। প্রসিকিউটরের মতো কাজ করছিলেন বিচারপতি। সিবিআই তদন্ত করছে। তাহলে কিভাবে এই মামলা। সাত বছর পর বলা হচ্ছে নতুন ভাবে ইন্টারভিউ দাও। আগে কোনও অভিযোগ হয়নি। দুবছরের মধ্যে ট্রেনিং নিয়েনিয়েছিলেন। তাহলে এই রায় কিভাবে বহাল হবে।
কল্যান :: কতবার ফায়ার aptitude টেস্ট দেব? বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়োগ হয়েছে। সব খতিয়ে দেখার পরেই চাকরি। ট্রায়াল ছাড়াই মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য এই মামলা খারিজ করে দেন দেরি করে দায়েরের জন্য। তাহলে আরেক সিঙ্গল বেঞ্চ কিভাবে মামলা শুনতে পারেন? কয়েকজনের কথাই বিচার করা হয়েছে এই মামলায়।
জয় দীপ কর… বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলিকে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলা শোনা থেকে অব্যহতি দিয়েছেন। তিনি টিভিতে ইন্টারভিউ দিয়ে চাকরি বরখাস্তের কথা বলেছেন।
শিক্ষাগত ক্ষেত্রে কম নম্বর পেয়েছে মানেই ইন্টারভিউতে কম নম্বর পাবে তার কোন মানে নেই। – সওয়াল প্রাথমিক পর্ষদের।
দেখা যাচ্ছে পরপর প্রচুর চাকরিপ্রার্থীরা ইন্টারভিউ এবং aptitude টেস্টে ৯.৫, ১০ পেয়েছে। এটা কিভাবে সম্ভব? – পর্ষদকে প্রশ্ন বিচারপতির ।
হাজার হাজার প্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। তাই অনেকে একই নম্বর পাবেন এটা হতেই পারে, – সওয়াল পর্ষদের।
এভাবে Interviewer দের জিজ্ঞাসাবাদ করা যায় ? – সওয়াল বিচারপতির।
এরা অপ্রশিক্ষিত ছিল বলেই চাকরি বাতিল ? নাকি এর পিছনে অন্য কোন কারণ আছে ? – প্রশ্ন পর্ষদের।
পর্ষদের নিজেদের নথি থেকে দেখা যাচ্ছে যে তারাই কম যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীদের চাকরি দিয়েছে। এই নথি আকাশ থেকে পড়েনি। দুর্নীতি না হলে সেই সময় আমরাও চাকরি পেতাম, আমাদের প্রশিক্ষণও সম্পূর্ন হয়ে যেত। – সওয়াল মামলা কারির আইনজীবীর।
বাঙালি মেনুতে শেষ পাতে চাটনি থাকে, এখন কলকাতা হাইকোর্টে দুর্নীতি শব্দটাও চাটনির মত হয়ে দাঁড়িয়েছে। – মন্তব্য কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের.
চাটনি পরে খাওয়া যাবে, আগে মেনকোর্স শেষ হোক। – মন্তব্য বিচারপতির।(EVM News)