ব্যুরো নিউজ, ২৮ নভেম্বর: সঙ্গিনীর মুখে অ্যাসিড ছোড়ার অপরাধে গ্রেফতার
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আইনি বিচ্ছেদ হয়নি। তা সত্বেও তিনি অন্য এক মহিলাকে মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন। গুরুতর এই অভিযোগ ওঠে এক অটোচালকের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে বাগুইআটি থানা এলাকার রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা অভিযুক্ত ওই অটোচালকের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মহিলার মুখে অ্যাসিড ছোড়ার অভিযোগ উঠল। জানা গিয়েছে, ওই অটোচালকের নাম সঞ্জীব দে। মহিলা বাধা দিতে গেলে অ্যাসিড পড়ে ওই অটোচালকের শরীরেও। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁরা দু’জনেই ভর্তি। মহিলা সঞ্জীবের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। 
খাস কলকাতার বুকে উদ্ধার রক্তাক্ত দেহ
আক্রান্ত ওই মহিলা জানান, ১৫ বছর আগে সঞ্জীব তাঁকে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন। তাঁদের বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়নি। মহিলার দাবি, আট বছর পরে তিনি জানতে পারেন, প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে এখনো আইনি বিচ্ছেদ হয়নি সঞ্জীবের। মহিলার কথায়, “তার পর থেকেই আমাদের মধ্যে এই নিয়ে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকতো। আমি অবশ্য অশান্তি এড়াতে পুলিশকে বিষয়টি জানাতে চাইনি। আমি গত কয়েক মাস যাবত সল্টলেকে থাকছিলাম। সঞ্জীব আমার সাথে ফোনে কথা বলত। আজ ও আমাকে রবীন্দ্রপল্লির বাড়িতে ফিরতে বলে”। সঞ্জীবের কথা মতো ওই মহিলা বাড়ি পৌঁছতেই শুরু হয় ঝগড়া। তিনি বলেন, “আমাকে সঞ্জীব মারধর করে। রান্নাঘরে একটি মগে অ্যাসিড রাখা ছিল। এরপর সেই অ্যাসিড সে আমার মুখে ছুঁড়ে মারে। আমি বাধা দিলে ওর গায়েও অ্যাসিড গিয়ে পড়ে”। চিৎকার শুনে বেরিয়ে আসেন প্রতিবেশীরা। সঞ্জীবকে ধরে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। মহিলা জানান, তাঁর ডান চোখে খুব যন্ত্রণা রয়েছে।
আপাতত সঞ্জীবকে আটক করেছে পুলিশ। এলাকা থেকেই সে অ্যাসিড সংগ্রহ করেছিল বলে অনুমান পুলিশের। তবে মহিলা জানিয়েছেন, শৌচাগার সাফাইয়ের জন্য অ্যাসিড রাখা ছিল। সেই অ্যাসিডই তাঁর মুখে ছুঁড়ে মারে সঞ্জীব বলে অভিযোগ। ইভিএম নিউজ
