ইভিএম  নিউজ ব্যুরো, ১২ অগাস্টঃ (Latest News) শনিবার “ক্ষেত্রীয় পঞ্চায়েতিরাজ পরিষদ”- এর পূর্বাঞ্চলীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করতে গিয়ে বাংলার পরবর্তী হিংসা এবং তার ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তীব্র আক্রমণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী বলেন, বঙ্গে ভোট মিটে গেলেও দিকে দিকে জারি রয়ে গিয়েছে বোমাবাজি, গোলাগুলি, হিংসা ও সন্ত্রাসের পরিস্থিতি। থামেনি মৃত্যু মিছিল।

প্রধানমন্ত্রীর কথায়, পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা থেকে শুরু করে ভোট দান, ভোটের গণনা এমনকি বোর্ড গঠনের সময়তেও হিংসা চালাচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।

বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা তো বটেই এমনকি অন্যান্য দলের কর্মীরা এবং সাধারণ মানুষ নির্মমভাবে অত্যাচারিত হচ্ছে।

এদিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে ব্যালট বাক্স লুট করে পালানো এমনকি ব্যালট খেয়ে ফেলার প্রসঙ্গও।

বোর্ড গঠনের জন্য বিরোধী দলের জয়ী প্রার্থীদের অপহরণের প্রসঙ্গ এদিন শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। পাশাপাশি হাওড়ার পাঁচলা, মালদহের পাকুয়াহাট সহ বিভিন্ন জায়গায় নারীদের ওপর যে পাশবিক অত্যাচারের ছবিও উঠে এসেছে সেণীও সুর চড়ান প্রধানমন্ত্রী।

এদিন মণিপুরের হিংসা প্রসঙ্গেও বিরোধীদের রাজনীতি করার অভিযোগও সামনে এনেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির কথায়, প্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিরোধী দলের সংসদদের মনিপুর হিংসা নিয়ে সংসদ ভবনে আলোচনা করার জন্য একাধিকবার অনুরোধ করেছে। কিন্তু বিরোধীরা মনিপুর হিংসা জিয়িয়ে রেখে তানি রাজনীতি করবার উদ্দেশ্যে আলোচনা প্রস্তাবে রাজি হয়নি।

সবশেষে কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত প্রকল্পগুলির সুফল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা গরিবী জীবনযাপন করে এসেছি। তাই আমরা জানি, গরিবীর শিকড় কোথায়। আমাদের সরকারের আমলে গত কয়েক বছরে ১৮ হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। তার মধ্যে ১৩ হাজার গ্রাম পূর্ব ভারতেই। ‘জলজীবন মিশন’-র মাধ্যমে ঘরে ঘরে জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মিজোরামে ৪ বছর আগেও মাত্র ৬ শতাংশ ঘরে কল দিয়ে জল পড়ত। আজ সেটা ৯০ শতাংশে পৌঁছেছে।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পিএম আবাস যোজনা’ গরিব মানুষকে অনেকটাই সুবিধা করে দিয়েছে। বিহারে ৫০ লক্ষেরও বেশি পাকা বাড়ি তৈরি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারের চরম অসহযোগিতার পরেও কেন্দ্রের তরফে ৪৫ লক্ষ বাড়ি তৈরি করেছি।’ (EVM News)

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর