ব্যুরো নিউজ, ১২ জানুয়ারি: মুখবাঁচাতে রাজ্য পুলিশের ছিপে রাখোব বোয়ালের বদলে ২ ‘চুনোপুঁটি!
সন্দেশখালিকাণ্ডের ৭ দিন পর অবশেষে ২ জনকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলা চালানো, মারধোর, মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, সিআরপিএফ জওয়ানদের তাড়া করা। এমনকি সংবাদ মাধ্যমকে মারধোর করা, চড়াও হওয়ার পর কেটে গিয়েছে গোটা একটা সপ্তাহ। ইতিমধ্যে সন্দেশখালির ‘সম্রাট’ শেখ শাহাজাহানকে ধরতে লুকআউট নোটিশ জারিও করা হয়েছে। তবে তারপরেও শাহাজাহানের দেখা মেলেনি।
পড়ুয়াদের পায়ে জুতো নেই, সমালোচনা কেন্দ্রের
এই পরিস্থিতিতে ইডি আধিকারিকদের হাইভোল্টেজ বৈঠক, সব কিছু মিলিয়েই রাজ্য পুলিশের ওপর চাপ বাড়ছিল। এই পরিস্থিতিতে অবশেষে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে ন্যাজাট থানার পুলিশ। হামলার ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে ২ জনকে শণাক্ত করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মেহবুর মোল্লা, সুকলম সর্দার।
উল্লেখ্য, ঘটনার পর ইডি জানিয়েছে, সেদিন #শেখ শাহজাহানের বাড়ির সামনে হাজার দেড়েক জনতা ভিড় করেছিলেন। যারা হামলা চালিয়েছিল, তাদের হাতে ছিল লাঠি, বাঁশ এমনকি অস্ত্রও। এখন প্রশ্ন উঠছে, তাহলে ঘটনার গোটা একটা সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পর হাজার মানুষের মধ্যে থেকে মাত্র ২ জনকেই চিহ্নিত করা সম্ভব হল?
#শাহজাহান শাহজাহান #শাহজাহান শেখ #তৃণমূল নেতা শাহজাহান #বেপাত্তা শাহজাহান
পুলিশ জানিয়েছে, ফকিরটোকিয়া বলে একটি জায়গার মাছের ভেড়িতে আত্মগোপন করে ছিলেন ওই দুই যুবক। সেখানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করেছে। তবে সেদিনের অশান্তিতে সামনে ছিলেন এলাকার আরও অনেক দাপুটে তৃণমূল নেতা-কর্মী। যাঁদের ছবি-ভিডিয়োতেও দেখা গিয়েছে, তাঁরা শাহজাহানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত। কিন্তু সেই রাখোব বোয়ালদের গ্রেফতার না করে মাছের ভেড়ি থেকে এই দুই ‘চুনোপুঁটি’কে গাঁথলো রাজ্য পুলিশ? সেই প্রশ্নই তুলছে বিরোধী শিবির। ইভিএম নিউজ