হচ্ছে
ব্যুরো নিউজ, ৯ নভেম্বর: মানা হচ্ছে না প্রশাসনিক নির্দেশ! প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে দেদারে বালি পাচার!


নদী থেকে শ’য়ে শ’য়ে বালি ভর্তি ট্রাক প্রতিদিন গ্রামের রাস্তা দিয়ে পাচার করা হচ্ছে। সংকীর্ণ রাস্তা দিয়ে লাগাতার বালি ভর্তি ভারি গাড়ি চলাচলের ফলে রাস্তার ধারে থাকা একাধিক বসত বাড়ির দেওয়ালে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ, প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে স্থানীয় কিছু বালি মাফিয়ারা বেআইনি ভাবে দিনের পর দিন নদী থেকে বালি চুরি করে পাচার করে চললেও  প্রশাসনের কোন হেলদোলই নেই বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।

বর্ষাকালীন নদী থেকে বালি উত্তোলন বন্ধের যে প্রশাসনিক নির্দেশ ছিল তা এখনও ওঠেনি। এরই মধ্যে নদীর জল কমে যাওয়ায় বালি মাফিয়ারা নদী থেকে দেদার বালি লুট করে পাচার করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ। আর এই মাফিয়ারাজ চলছে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানার বনকাটি পঞ্চায়েতের অন্তর্গত অজয় নদের বিভিন্ন জায়গায়।
রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে ফের নতুন ডায়েরি| মিলেছে একাধিক তথ্য
এমনকি গ্রামবাসীরা এই অবৈধ কারবার বন্ধ করার জন্য প্রতিবাদ করলে মাফিয়াদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলেও অভিযোগ। অভিযোগ বনকাটি পঞ্চায়েতের পেয়ারাবাগান ঘাট, শ্মশান ঘাট এলাকা থেকে প্রতিদিন নদী বক্ষ থেকে বেআইনিভাবে বালি তুলে কয়েকশো ট্রাকে বালি লোড করে পাচার করে দিচ্ছে বালি মাফিয়ারা। 

অভিযোগ, স্থানীয় কাঁকসা থানায় এই বালি চুরির বিষয়ে একাধিকবার গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলেও, বেআইনি এই বালির কারবার বন্ধ হচ্ছে না। ধরাও পড়ছে না এই অবৈধ বালি কারবারিরা।

গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, খোদ পুলিশ ও ভূমি রাজস্ব দফতরের একাংশের সঙ্গে ‘ সেটিং ‘ করেই বালি মাফিয়ারা এই কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি বনকাটি পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ও বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীরা এই অবৈধ বালি কারবারের সঙ্গে যুক্ত বলে স্থানীয় বিজেপি নেতা ইন্দ্রজিৎ ঢালী অভিযোগ করেছেন। যদিও কাঁকসা থানার পুলিশের দাবি, বসুুদা গ্রামে সরকারি ভাবে পুকুর খননের কাজ চলছে। এখানে কেউ অবৈধ ভাবে বালি তুলছে না। এছাড়াও বনকাটি পঞ্চায়েত এলাকায় এই মুহূর্তে সমস্ত বালিঘাট বন্ধ রয়েছে। বেআইনি বালির গাড়ির বিরুদ্ধে পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর