ব্যুরো নিউজ, ৩ অক্টোবর: বিচারপতির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ| ডিভিশন বেঞ্চে অভিষেক

২৯ সেপ্টেম্বর বিচারপতি অমৃতা সিনহা যেই নির্দেশ দেন সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গেলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। বিচারপতি অমৃতা সিনহা সেই নির্দেশে বলেন, “৩ অক্টোবর ইডি তদন্ত যাতে কোনওভাবেই ব্যাহত না হয় তা নিয়ে পদক্ষেপ করবেন ইডি অধিকর্তারা।” মামলাটি রয়েছে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে। অভিষেকের আইনজীবীদের তরফে আজই এই মামলার শুনানির আবেদন রাখা হতে পারে।

চুরি যাওয়া মোবাইল মালিকদের ফেরৎ
বিচারপতির নির্দেশে প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় তদন্তকারী আধিকারিক বদল করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছিলো ইডির অফিসার মিথিলেশ কুমার মিশ্রকে। তাকে অবিলম্বে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত থেকে সরানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তার জায়গায় অন্য আধিকারিক নিয়োগের নির্দেশ দেন বিচারপতি। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গের কোনও মামলার তদন্তে তাকে না রাখার নির্দেশ দেন বিচারপতি। আদালত এই ইডি আধিকারিকের ওপর আস্থা হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি। ৩ অক্টোবরের অনুসন্ধান তদন্ত যাতে ব্যাহত না হয় তা দেখার জন্য ইডি অধিকর্তাকে তিনি নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যেই এই মামলার রিপোর্ট জমা দিয়েছে ইডি। তাঁরা জানায় আগামী ১০ অক্টোবর তাঁরা এই মামালার বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করবে। তাঁরা আরও বলেন,তাদের একসাথে ১৩১টি মামলার তদন্ত করতে হচ্ছে। ফলে এক একজন আধিকারিককে ২২টি করে মামলা সামলাতে হচ্ছে। এই মর্মে একাধিক প্রশ্ন করা হয় ইডির আধিকারিকদের। তাঁরা কোর্ট এর কাছে সময় চায়।

এরপর এই মামলায় আর্থিক লেনদেনের গতিপথ কী ছিল সেই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। ইডির তরফে জানানো হয়, “রিপোর্টে কিছু ব্যক্তির নাম আছে আমরা প্রকাশ্যে বলতে চাই না। আমাদের আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পান না।” এরপর বিচারপতি মন্তব্য করেন, আমি আগের দিন আপনার তদন্তকারী আধিকারিক মিথিলেশ কুমার মিশ্রর সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছি যে তিনি এই তদন্তের জন্য যোগ্য ব্যক্তি নন। ৩ অক্টোবরের অনুসন্ধান তদন্ত যাতে ব্যাহত না হয় তা দেখার জন্য ED অধিকর্তাকে নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ইডির শমনের জবাবে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় তাঁর X-হ্যান্ডেলে লেখেন, “পারলে আটকে দেখান আমাকে।” ইভিএম নিউজ

















