লাবনী চৌধুরী, ২৬ সেপ্টেম্বর: ‘বঞ্চনার ৩৯৯ তম দিন’ | রয়েছে সাসপেন্স
আজ বঞ্চনার ৩৯৯ তম দিন। ধর্মতলা আজ যেনও ‘ধর্ণাতলায়’ পরিণত হয়েছে। ধর্মতলার মাতঙ্গিনী মূর্তির পাদদেশে ধর্ণা ও অবস্থান বিক্ষোভে রাজ্য গ্রুপ-ডি ওয়েটিং চাকরী প্রার্থীরা।
মুডিজের রিপোর্টে চাঞ্চল্য | আধার কার্ড থেকে ফাঁস হচ্ছে গোপন তথ্য
গত বছর ধরেই তাদের পথই যেনও সব। পথেই পুজো, পথেই কাটে উৎসব। ঘর-বাড়ি, আত্মিয়-পরিজন ছেড়ে চাকরী প্রার্থীরা পথেই আশ্রয় নিয়েছেন এই আশায় যে, পথই তাদের একদিন ভবিষ্যতের পথ দেখাবে। ফিরিয়ে দেবে তাদের হক।
এদিন বঞ্চিত রাজ্য গ্রুপ-ডি প্রার্থীরা জানান, “রাজ্য গ্রুপ-ডি মুখ্যমন্ত্রীর নিজের দফতর। আর সেই দফতরেই কারচুপি হয়েছে। তবুও মুখ্যমন্ত্রী নিশ্ছুপ। মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ৩৯৯ দিন ধরে আমরা পথে। আজ বছর ঘুরে গেলেও তাঁর দেখা পর্যন্ত মেলেনি। সেখানে আশ্বাস দেওয়া তো অনেক দুরের বিষয়। মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে চাকরির দাবিতে হ্যারিকেন মহামিছিলও করেছি। এদিকে মাননীয়া এদিক-সেদিক সফর করে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু কালীঘাট থেকে ধর্মতলা, এইটুকু রাস্তা আসতে পারছেন না”। দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনার শিকার হওয়া এই প্রার্থীরা তাদের ক্ষোভ উগরে দেন।
পাশাপাশি তাঁরা জানান, “আমরাই প্রথম প্রতীকী মুখ্যমন্ত্রীর বেশে প্রচারের অভিনবত্ব তুলে ধরেছি। মাতঙ্গিনী হাজরার বাসভবন (হোগলা-তমলুক) থেকে ৩ দিনের লং মার্চ কর্মসূচি পায়ে হেঁটে শহীদ মিনার এসেছি। মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে মুখ্যমন্ত্রীর খোঁজে ন্যায্য চাকরির দাবি নিয়ে হ্যারিকেন মহামিছিল আমরাই করেছি। ‘খেলা নয়, চাকরি চাই’ এই কর্মসূচিও আমরাই নিয়েছি। শুধু আজও পারিনি সরকারের মানবিকতা জয় করতে, ন্যায্য চাকরীটুকু ছিনিয়ে নিতে”।
এছাড়াও তাঁরা সাসপেন্স তৈরি করে বলেন, “আগামী কর্মসূচিতে একটা ধামাকা থাকবে। আগামীকালের জন্য সাসপেন্স রইলো”। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার বেলা ১ টায় সকল সাংবাদিক বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানান তাঁরা। তাঁরা জানায়, আপনাদের ছাড়া পুরো কাজটাই অসম্পূর্ণ।
তবে কী সেই সাসপেন্স? এবার কোন পথে হাটবেন চাকরী প্রার্থীরা? সেই দিকেই নজর রয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে অয়াকিবল মহলের। ইভিএম নিউজ