সংকল্প দে, ৬ মেঃ (Latest News) ফের স্বপ্নভঙ্গ চাঁচলবাসীর, পুরসভার আশায় জল মুখ্যমন্ত্রীর

পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসছে ৷ তার মধ্যেই গত বুধবার  জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক ছিল মুখ্যমন্ত্রীর ৷ চাঁচলবাসী আশা করেছিল, এবার তাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন হয়তো পূরণ হবে ৷ মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক সভা থেকেই চাঁচল পৌরসভার ঘোষণা করতে পারেন ৷ কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী ৷ নিজে এনিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি ৷ বরং স্থানীয় বিধায়ক তাঁর কাছে চাঁচল পৌরসভা চাইতেই তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সেটা হবে না ৷ চাঁচল পৌরসভা করা যাবে না ৷ আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর এসব বাক্য ব্যালট বাক্সে কতটা প্রভাব ফেলে, এখন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহল ৷

দীর্ঘ দুই দশক ধরে পুরসভার দাবি জানিয়ে এসেছে চাঁচলের লোকেরা।বাম আমলে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য চাঁচলে এসে পুরসভা করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু বাম জামানা পেরিয়ে তৃণমূলের ১২ বছর অতিক্রম হয়ে গেলো। তৃণমূলের জামানাতেও চাঁচলকে  পুরসভা করার কথা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পুরসভা চালু হয়নি উত্তর মালদার প্রাণকেন্দ্র মহকুমা সদর চাঁচলে।পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র মহকুমা সদর যেখানে পুরসভা নেই। ২০২১ বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে চাঁচলে এসে ফের আরেকবার পুরসভার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরাদ হাকিম। তিনি বলেছিলেন শুধুমাত্র রাজ্যপালের স্বাক্ষর বাকি রয়েছে। আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছিল চাঁচলের মানুষ। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবারের মতো এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয় তৃণমূলের প্রার্থী। চাঁচলবাসী ভেবেছিল এবার হয়ত অপেক্ষার অবসান হবে। কিন্তু তাদের সেই আশায় জল ঢেলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার মালদায় প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পুরসভার আর্জি জানান চাঁচলের বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ।

মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন এখন পুরসভা করা সম্ভব নয়। কারণ ভারারে টান রয়েছে। আর মুখ্যমন্ত্রীর সেই বক্তব্য সামনে আসার পরেই হতাশ চাঁচলবাসী। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের ক্ষোভ ব্যক্ত করে একাধিক পোস্ট করেছে চাঁচলের মানুষ। চাঁচলের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম, তাপেশ পান্ডে, শফিকুল আলমরা বলেন __মুখ্যমন্ত্রী আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ছেলে খেলা খেললেন। তার এই বক্তব্য আমরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছি না। তবে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট বাক্সে এর প্রভাব পড়বে।

পৌরসভা নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগ সামনে আসতেই রাজ্যের শাসক দলকে একযোগে আক্রমণ জানিয়েছে বিজেপি ,কংগ্রেস সিপিআইএম।

মালদা উত্তরের বিজেপির সংসদ খগেন মুর্মু বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস হচ্ছে ধোকাবাজ। পৌরসভার করের বাহানা দিয়ে কানাকে হাইকোর্ট দেখাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।

যদিও এ বিষয়ে তৃণমূল বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর