দেবী পূজায় কোনো ফলমূলের বা মিষ্টির প্রচলন নেই। প্রসাদ হিসাবে দেওয়া হয় হাঁসের ডিম। ডিমেই পুজিত হন দেবী। দেবীর প্রসাদ মানেই আস্ত একটা হাঁসের ডিম । দক্ষিণ কলকাতার বিজয়গড় – শ্রীকলোনিতে পুজিত হয় এই বুড়িমা অর্থাৎ বনদুর্গা। মকর সংক্রান্তির দিনে থালা থালা ডিম দেওয়া হয় বুড়িমাকে।এই পুজো উপলক্ষে বসে ‘বারোভূতের মেলা’। দেবীর নৈবেদ্য হিসাবে চরণে সমর্পণ করা হয় লক্ষ লক্ষ হাঁসের ডিম।জানা যায় ,প্রায় ৬৮ বছরেরও বেশি পুরোনো এই মন্দিররে এই পুজোর রেওয়াজ । শোনা যায় দেশভাগের সময় বহু শরণার্থী কাঁটাতার পেরিয়ে ঠাঁই নেন এই বাঘাযতীন -বিজয়গর এলাকায়। তখন থেকেই প্রচলিত এই বনদেবীর। এই প্রসঙ্গে বহু কাহিনী কথিত রয়েছে। জানা যায় ,বহুকাল আগে দেবী নাকি ভিখারিনী বেশে এসেছিলেন এক দরিদ্রের বাড়ি। তাঁর ঘরে থাকা চাল ও হাঁসের ডিম দিয়েই ওই অতিথি সৎকার করা হয় । সেই থেকেই প্রচলত ওই দেবীর প্রসাদ হাঁসের ডিম। স্থানীয়দের তরফে জানা গিয়েছে , দেবীর প্রসাদ হিসাবে ওই লক্ষ লক্ষ ডিম ভক্তদের মধ্যে বিলি করা হয়। এ ছাড়াও ,অনাথ  শিশু ,হাসপাতাল ও পথের দুস্থ মানুষদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয় ওই প্রসাদ ।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর