ব্যুরো নিউজ, ১৬ নভেম্বর: সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিরোধী দলকে তোপ সাংসদের
বুধবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন। সেখানে তাকে প্রশ্ন করা হয় যে নওসাদ সিদ্দিকি, বামফ্রন্ট সবার একটাই কমন অভিযোগ কি এমন হয়েছে যে ওই এলাকায় কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না, ওখানকার মোয়াইনা পর্যন্ত করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমন কি হয়েছে জয়নগরের ওই এলাকায়? এর উত্তরে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যে এই ঘটনা নতুন নয়। বীরভূমের নানুর, সহ একাধিক জায়গায় এইরকম হয়েছে। লালগড়ে হয়েছে। গনহত্যা হয়েছে। সিপিএম- এর আমলেই হয়েছে। তারপরেও এখনো এইসব চলছে। নেতারা যাচ্ছেন। ফটো তুলছেন। ঘটনা গুলো কেনো বন্ধ করা যাচ্ছে না? সেটা নিয়ে কেউ ভাবছে? তৃণমূল সেই একই রাজনীতি করছে। নিরীহ মানুষ ঘর ছাড়া। চাপানউতোর চলছে। এর পরিবর্তন হবে কি? এগুলি খবর হিসেবে ভালো। কিন্তু মানুষ এভাবে কতদিন মার খাবে?
সাংবাদিকদের তরফে তাকে আবারও প্রশ্ন করা হয়। ৩ দিন ধরে গ্রামছাড়া মানুষ। এই বিষয়ে তার কি বক্তব্য? তিনি বলেন, আপনি ৩ দিন বলছেন? ৩ বছর ধরে আমাদের কত লোক গ্রাম ছাড়া? সেই ২০২১ এর বিধানসভা ভোটের পর থেকে। পশ্চিমবঙ্গের এটাই বাস্তব রাজনীতি। আমরা এর পরিবর্তনের জন্য লড়াই করছি। এরপর তার সাথে একে একে চলতে থাকে প্রশ্নোত্তর পর্ব। গোটা ইস্যুর রাজনীতিকরন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বগটুইতে একই ঘটনা ঘটেছিল। গুন্ডা মস্তানদের তৃণমূল নেতা বানিয়ে দিয়েছে। তারা জনরোষে মারা গেলে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের এই রাজনীতির বিসর্জন দরকার।
বিরসা মুন্ডার জন্মদিন উপলক্ষে হাজির জেলাশাসক
তাকে করা বাবুলের কটাক্ষ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি কাউকে টার্গেট করি না। বাবুলের কি প্রাসঙ্গিকতা আছে? কোনো দিন ছিল? বিজেপি ওকে মন্ত্রী বানিয়েছিল। এখানে এসে ভাষণ দিত। দলের জন্য ও কি করেছে? আমাদের এতো কর্মী মার খেয়েছে। কারুর বাড়ি গেছে? কাউকে দুটো পয়সা দিয়ে সাহায্য করেছে? দিলীপ ঘোষের সঙ্গে লড়াই করতে আসবেন না। দিলীপ ঘোষ মাটিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছে। এখনও করছে। আপনি করে খাচ্ছেন। নিজের সুবিধার জন্য অন্য পার্টিতে চলে গেছেন। কাল আবার অন্য পার্টিতে চলে যাবেন।ওনাকে কে মনে রেখেছে? যে পার্টির নেতা, সেই পার্টিই এলাকায় ঢুকতে দেয় না। আদানির বিরুদ্ধে মহুয়ার তোপ প্রসঙ্গে তার বক্তব্য ছিল, এটা দ্বিচারিতা। কংগ্রেস সরকার চলে এমন রাজ্যে তাকে ডেকে ডেকে শিল্পের বরাত দেওয়া হচ্ছে। উনি সফল শিল্পপতি। তার থেকে সুবিধা নেব। আবার তাকেই গালাগাল দেব? আদানিকে না ডাকলে সামিট হবে না। পোর্ট এর কাজ হবে না। মানুষ এগুলো বোঝে। পাত্তা দেয় না। ভোটের আগে স্টান্ট দেওয়ার জন্য এগুলো ভালো। একে গালাগাল দিয়ে কার লাভ হচ্ছে? যারা টাটা কে তাড়িয়ে দেয়, তারা এসব বলে। এসব দিয়ে আর চলবে না। ভারতবর্ষ পাল্টে গেছে।
আজ মুম্বইয়ে মহারণ। এই বিষয়ে তিনি বলেন, যে দেশে বিশ্বকাপ হয় সেই দেশ সব সময় ফেভারিট থাকে। এখন ভারতের টিম বিশ্বে ১ নম্বর। সামনে আর কোনো টিম নেই। তবে ক্রিকেট অনিশ্চিত খেলা। নক আউটে মাঝেমাঝে ভারতের পারফরম্যান্স একটু গড়বড় হয়। তবে যে পারফরম্যান্স দেখাচ্ছি, তাতে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল দুটোই জেতার আশা রাখা যায়। ভাই ফোঁটার দিন এ রাজ্যের সবার যিনি দিদি, তাঁর উদ্দেশ্যে কি বলবেন? সাংবাদিকদের করা এই প্রশ্নের উত্তরে তার জবাব, দিদি হিসেবে উনি আমাদের সবার অভিভাবক। আশা করব, সবার দিকে তাঁর সমান দৃষ্টি থাকবে। পশ্চিমবাংলাকে উনি সুরক্ষিত করবেন। যাতে সব ভাই বোন একসঙ্গে থাকতে পারে। যারা আজকে রাস্তায় বসে আছে, যারা ডিএ- এর জন্য আন্দোলন করছে, তারাও তো ওনার ভাই। কমপক্ষে আজকের তাদের সবার কথা ওনার ভাবা উচিৎ। ইভিএম নিউজ