অরূপ রায়, ইভিএম নিউজ,২৮ ফেব্রুয়ারিঃ তিন বছরে ডার্বিতে মোহনবাগানের কাছে টানা আটটি ম্যাচে লজ্জার হার ইস্টবেঙ্গলের। কুড়ি ম্যাচে উনিশ পয়েন্ট সংগ্রহ করে আইএসএল টুর্নামেন্টে লীগ টেবিলের দশম স্থানে শেষ করা ইস্টবেঙ্গলের ভবিষ্যত নিয়ে ইতিমধ্যেই তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, পরের মরসুমেও কি এই ব্যর্থতার ধারাবাহিকতাই বজায় থাকবে?
আইএসএল টুর্নামেন্টে ফিরতি পর্বের ম্যাচে মোহনবাগানের কাছে হারের পর থেকেই সমর্থকদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে অনিশ্চয়তার ভ্রূকুটি। একই সঙ্গে কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন সহ বেশ কিছু ফুটবলারকেও ছেঁটে ফেলার দাবিতে সরব লাল হলুদ সমর্থকরা। ইস্টবেঙ্গলে স্টিফেনের ভবিষ্যত যে বেশ সঙ্কটে কোচ নিজেও তা বেশ ভালো ভাবেই বুঝতে পারছেন।আসন্ন সুপার কাপে ভালো ফল না হলে স্টিফেনের বিদায় শুধুই সময়ের অপেক্ষা।
শুধু কর্তা কিংবা সদস্য সমর্থকরাই নন, লগ্নিকারি সংস্থার কর্তাদের পাশাপাশি দলের বেশ কিছু ফুটবলারও স্টিফেনের ওপর ক্ষুব্ধ। ঘনিষ্ঠ মহলে বেশ কিছু ফুটবলার বলেছেন স্টিফেন দায়িত্বে থাকলে তারা দল ছাড়বেন। স্টিফেন কে নিয়ে মোহভঙ্গ ঘটেছে লগ্নিকারী সংস্থা ইমামী কর্তাদেরও। ইমামীর সিইও নম্রতা পারেখ বলেছেন, আমাদের এখন পরের মরসুমের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। আলোচনা সভায় বসে এই বছরের ব্যর্থতার কারণ জানতে হবে। পরের মরসুমে কী করা উচিত তা ভাবতে হবে। সমর্থকরা প্রশ্ন তুলেছেন গত মরসুমে চ্যাম্পিয়ন হায়দরাবাদ এফসি থেকে নেওয়া সৌভিক চক্রবর্তী কে কেন ম্যাচের পর ম্যাচ বসিয়ে রাখা হয়েছে। কেন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে অনিকেত যাদব কে। কেন ম্যাচের পর ম্যাচ বসিয়ে রাখা হয়েছে অনূর্ধ্ব সতেরো বিশ্বকাপ দলের ফুটবলার অধিনায়ক অমরজিৎ সিং কে।
সব মিলিয়ে ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন এখন ব্যাকফুটে। নতুন মরসুমে স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন লাল হলুদের কোচের দায়িত্ব পান কিনা তা সময়ই বলবে।
