ব্যুরো নিউজ, ৯ ডিসেম্বর: জঙ্গিপুর হাসপাতালে মৃত্যু ৩ সদ্যজাতের
ইতিপূর্বে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে মৃত্যু হয়েছিলো ৯ শিশুর। ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই সেই সংখ্যা বেড়ে হোল ১২। এই শিশু মৃত্যুর জেরে মুর্শিদাবাদ জুড়ে তৈরি হয়েছে চাপা বিক্ষোভ। ঘটনার তদন্তে গড়া হয়েছে ৩ সদস্যের কমিটি। শুক্রবারই পাঠানো হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের ২ প্রতিনিধি অরিজিৎ ভৌমিক ও বি কে পাত্রকে। ওই শিশু মৃত্যুর সার্বিক তদন্তের দাবি ইতিমধ্যেই উঠেছে।
ওই শিশু মৃত্যুর দায় মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ চাপিয়ে দিয়েছে জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপর। তাঁদের এসএনসিইউ তে সংস্কারের কাজ চলছে। তাই ওই শিশুদের রেফার করা হয়েছিলো সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার অবিনাশ কুমার জানিয়েছেন, তাঁদের অধিনে প্রায় জনা ২৫ সদ্যজাতের চিকিৎসা চলছে। রেফার করার বিষয়টি তিনি অস্বিকার করেন। তিনিও ঘটনার পুরনাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছেন। গত নভেম্বর মাসে মেডিক্যাল কলেজে ৪০ টি শিশুকে রেফার করা হয়।
টাটাদের আই ফোন, কারখানা বাংলায় নয়
সদ্যজাতদের রেফার করার পিছনে কোন অভিসন্ধি কাজ করছে কিনা তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। কারন জেলা জুড়ে গজিয়ে উঠেছে প্রচুর নার্সিং হোম। সেখানে পরিকাথাম যথেষ্ট নেই। ডোমকলের রেফার করা শিশু তথা নাস রিন খাতুনের সন্তান ওজন কম থাকায় চিকিৎসা চলছিলো মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের এসএনসিইউ- তে। শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। ডাক্তারদের দুরব্যবহার চলছে তাল মিলিয়ে। ধুলিয়ান থেকে প্রায় ৯৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ৪২ দিনের সন্তানকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন তাঁর বাবা মোসারফ শেখ। কিন্তু ১০ মিনিট দেরি হওয়ায় তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সাংবাদিকেরা ঝাঁপিয়ে পরায় শিশুটিকে দেখতে বাধ্য হয় চিকিৎসকেরা। ফলে ট্রাডিশন ধরে রেফার রোগ ও চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্য কর্মীদের দুরব্যবহার কবে কমবে তা নিয়ে চিন্তিত রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ। ইভিএম নিউজ