ইভিএম নিউজ ব্যুরো,১১ ফেব্রুয়ারিঃ ঘন কালো মোলায়েম চুল কে না ভালোবাসে? এখন অবশ্য সেই কালো রঙের পরিবর্তে বাহারি রঙে চুল রাঙানোটাও, কেশবিলাসীর স্টাইল স্টেটমেন্ট হয়ে উঠেছে। এ তো গেল ফ্যাশনের প্রভাবে চুলের রুক্ষ হওয়ার কারণ তবে কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় আপনা থেকেই চুল লালচে ও রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে সেক্ষেত্রে ঘাবড়াবেন না, বিশেষজ্ঞরা অবশ্য এটাকে ভয়ের কারণ হিসেবে ধরে না নিয়ে, কালো স্বাস্থবান চুল ফিরিয়ে আনার বিকল্প পদ্ধতিরও হদিস দিচ্ছেন। তাঁদের দাবি, এই বিকল্প পথে ফের ফিরতে পারে, চুলের সেই পুরনো স্বাস্থ্য। কী সেই পদ্ধতি?
আসলে চুলে থাকে দুই ধরনের মেলানিন। ইউমেলানিন এবং ফিওমেলানিন। যাঁদের চুলে যত বেশি মেলানিন তাদের চুলের রং বেশি কালো। লালচে চুলের জন্য দায়ী ফিওমেলানিন। সুতরাং প্রথমেই বুঝতে হবে চুলে কোন ধরনের মেলানিনের প্রভাব বেশি।সাদা চুল মানে মেলানিনের অভাব। শরীরে হরমোনের প্রভাব কম হলে চুলেও তার প্রভাব পড়ে। চুলে আসে লালচে আভা। বিশেষত, যাঁরা বহুক্ষণ বাইরে থাকেন, সূর্যরশ্মি সরাসরি তাঁদের চুলের ওপর পড়ে। আর সূর্যের সেই অতিবেগুনি রশ্মি চুলে সানব্লিচ তৈরি করে। ফলে তৈরি হয় লালচে ভাব। পাশাপাশি আমাদের আবহাওয়াও চুলকে লালচে করার জন্য অনেকটা দায়ী। বেশ কিছু এলাকায় খড় জলের প্রভাবে চুল লালচে ও রুক্ষ হয়ে যায়। আর সেই চুল ঝরে পড়ার প্রবণতা দেখা যায়। অনেক সময় ক্ষারযুক্ত শ্যাম্পু, হেয়ার ড্রায়ার এবং স্ট্রেইটনারের ব্যবহারেও চুল লালচে আর রুক্ষ হয়ে যায়। এছাড়া খাদ্যাভ্যাস আর জীবনধারার প্রভাব তো আছেই। চুল লালচে আর রুক্ষ হয়ে ওঠার নেপথ্যে এই কারণগুলির প্রভাবও কিছু কম নয়।
আর এর থেকে মুক্তি পেতে গেলে, ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে অনেকটা উপকার পাওয়া যায়। পদ্ধতিগুলি হল,
১. শ্যাম্পু করার আগে চুলে ভালো করে তেল দেওয়া দরকার।
২. শ্যাম্পু করার সময় একবার শ্যাম্পু লাগালেই বেশি ভালো, দুই থেকে তিনবার শ্যাম্পু চুলকে অনেকটা রুক্ষ করে তোলে। এছাড়া রোজ যারা চুলে শ্যাম্পু করতে চান তারা অবশ্যই মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন।
৩. শ্যাম্পু করার পর চুলে কন্ডিশনার লাগানো অতি জরুরী এবং তা লাগাতে হবে চুলকে ভালো করে টাওয়েল ড্রাই করে। কন্ডিশনার লাগিয়ে পাঁচ থেকে সাত মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
৪. চুলে ভালো সিরাম ব্যবহার করতে হবে।
৫. বাইরে বেরোলে ত্বকের মতো চুলেও ইউভি প্রোটেকটিভ সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫. খাদ্যাভাসে প্রোটিন এবং আয়রন জাতীয় খাবার বেশি রাখতে হবে।
৬. সারাদিনে অন্তত তিনলিটার জল অবশ্যই পান করতে হবে