ব্যুরো নিউজ, ২৪ ডিসেম্বর: গ্রামের মেয়েরাও বোম বাঁধছে
‘গ্রামের মেয়েরাও বোম বাঁধছে। ঝামেলার সময় ৩০-৪০ টা করে বোম ফেলছে, গুলি করছে। গ্রামের কেউ কোনও কাজ করেনা, একবার করে ঝামেলা করে আর লুটপাট করে নিয়ে গিয়ে খায়। রাতে দরজা কেটে বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। এখানে প্রায় দিনই বোমাবাজি হয়।’ শুক্রবার রাতের এমনই রোমহর্ষক ঘটনার কথা জানালেন গ্রাম বাসীরা।
বড়দিনের নিরাপত্তা নিয়ে তৎপর পুলিশ
ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত দুবরাজপুর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিভিক ভলেন্টিয়ার-সহ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর প্রায় ৪০ টি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পাশাপাশি গ্রামে প্রায় ১৫০ টি বোম ফেলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত যশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত খোয়াজ মহম্মদপুর গ্রাম। আর সেই গ্রামই এবার উত্তপ্ত হলো তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে। জানা গিয়েছে, রাত আটটা নাগাদ তৃণমূল কর্মী আজম সেখ ও সেলিম সেখের গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধে। সেই সময় প্রায় শতাধিক বোমাবর্ষণ করা হয় বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। এছাড়াও দুই গোষ্ঠীর প্রায় ৩০-৪০টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সিভিক ভলেন্টিয়ারের বাড়ি এবং গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দুবরাজপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
গ্রামের এক স্কুলপড়ুয়া জানায়, ‘গ্রামের মেয়েরাও বোম বাঁধছে। ঝামেলার সময় ৩০-৪০ টা করে বোম, গুলি মারছে। গ্রামের কেউ কোনও কাজ করেনা, একবার করে ঝামেলা করে আর লুটপাট করে নিয়ে গিয়ে খায়। রাতে দরজা কেটে বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল।এখানে প্রায় দিনই বোমাবাজি হয়।’
গ্রামের বাসিন্দা শেখ আলী জানান, ‘গ্রামে তৃণমূলের দুটো গোষ্ঠী। আজমের গোষ্ঠী ও সেলিমের গোষ্ঠী। সেলিমের দলবল রাতে চড়াও হয়। হঠাৎ গ্রামের চারিদিকে বোমাবাজি শুরু করে। আমার গেটেও ৫-৬ টা বোম মারা হয়েছে। প্রায় ১৫০ টি বোম ফেলা হয়েছে।’ ইভিএম নিউজ